কলকাতা: শহরে ফের তৃণমূলের দুই সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর তুমুল মারামারি। বেহালার পর এবার ঘটনাস্থল দক্ষিণ কলকাতার লেক গার্ডেন্স এলাকা। এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনকি আহত অনেকের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। তৃণমূল সমর্থিত দুটি সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর তুমুল মারামারি শুরু হয়ে যায় দলেরই বর্ষিয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের বাড়ির সামনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সৌগত রায়কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি নিজেই লেক থানায় ফোন করেন। সাংসদের ফোন পেয়ে পুলিস আসে। ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে এলাকায়।
ঘটনাস্থল কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের লেক গার্ডেনস। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর রতন দের বিরুদ্ধে। এখানেই রয়েছে সৌগত রায়ের বাড়ি। সেখান থেকে একটু দুরেই একটি পুরানো বাড়ি ভাঙার বরাত নিয়ে কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল সমর্থক দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই চলছে।
রবিবার রাত নতুন করে ফের লড়াই শুরু হয় তৃণমূলের দুই সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর মধ্যে। সোমবার দিনভর সে লড়াই চলে। লাঠিসোটা ছাড়াও ধারালো অস্ত্র হাতে অনেকেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে এই ঘটনা ঘটায় অনেকে বাড়ি থেকে বেরোতেও ভয় পান।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝে বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। তিনি পুলিস ডেকে দুষ্কৃতীদের ধরিয়ে দেন। পরে তিনি জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর আগেও ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, স্থানীয় এক মহিলা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা টাকা তোলা চেয়েছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরে সেই দুষ্কৃতীদের পুলিস বাধ্য হয়ে গ্রেপ্তার করলেও পরের দিন আদালত থেকে তারা জামিন পেয়ে যায়।
দিন কয়েক আগেই বেহালার চড়কতলায় এলাকার দখলদারি নিয়ে তৃণমূলেরই দুই সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর লড়াই হয়। অভিযোগ, সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে তৃণমূলের এক যুব নেতার নেতৃত্বে তার অনুগামীরা দিন পাঁচেক আগে চড়কতলায় তারা তিন ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। লাঠিসোঁটা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় তারা। স্থানীয় একটি আবাসনে ঢুকেও বাসিন্দাদের উপর হামলা করা হয়। পাঁচদিন পর সোমনাথকে রবিবার হাওড়ার জয়পুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিস।