কলকাতা: একাধিক ছবিতে দেবাঞ্জনের পাশে দেখা গিয়েছে এক মহিলাকে। ভ্যাকসিন প্রতারণায় যোগ থাকারও অভিযোগ উঠেছে। সেই সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ বার নিজেই প্রতারণার অভিযোগ তুললেন। বললেন, দেবাঞ্জনের সঙ্গে তাঁর কোনও বন্ধুত্বের সম্পর্ক নেই। তিনি এক জন কর্মচারী মাত্র। তালতলার একটি পুজো মণ্ডপে তাঁদের প্রথম পরিচয় হয়৷ সেখানেই আইএএস বলে নিজের পরিচয় দেন দেবাঞ্জন৷ সুস্মিতাকে পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি৷
নিয়োগপত্র পেয়ে দেবাঞ্জনের অফিসেই কাজে যোগ দেন সুস্মিতা৷ দেড় মাস ধরে দেবাঞ্জনের অফিসে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি৷ মাসিক ৩৬ হাজার টাকা বেতন ছিল তাঁর৷ টিকা সংক্রান্ত কাজের দেখভাল করতেই সুস্মিতাকে নিয়োগ করা হয়েছিল৷ দেবাঞ্জনের ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন সুস্মিতার মা ও ভাই৷ সুস্মিতার দাবি, টিকা যে ভুয়ো তা তিনি জানতেন না৷
আরও পড়ুন ভালো আছেন মিমি
সুস্মিতাকেই দেবাঞ্জন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় দিতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুস্মিতা। পুলিশ সূত্রের খবর, সিটি কলেজে ভুয়ো ভ্যাকসিন শিবিরে বিশেষ ভূমিকা ছিল সুস্মিতার৷ বিবাহবিচ্ছিন্ন সুস্মিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথাও উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে৷ সুস্মিতার বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তাঁর পাড়া প্রতিবেশীরাও৷ কোভিড টিকার শিবির শুরু করেছেন দেবাঞ্জন, এ কথা জানতে পেরে পরিচিতদের মধ্যে অনেকেই টিকা নিয়েছেন।