কলকাতা: ভুয়ো ইডি অফিসার (Fake ED officer) পরিচয় দিয়ে বিয়ের চেষ্টা, অভিযুক্তকে সিজিও কমপ্লেক্সের (CGO Complex) বাইরেই হাত-পা বেঁধে পেটাল তরুণীর পরিবার। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিযুক্তকে গাড়িতে করে নিয়ে যায় অভিযোগকারীরা। অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম প্রদীপ সাহা। তিনি সোনারপুরের বাসিন্দা। তরুণী পরিবারের অভিযোগ, ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই যুবক। শুধু তাই নয় কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। হাতেনাতে ধরা পড়ায় ইডি অফিসের গেটে বেধে মারধর করা হয় ওই ষুবককে।
মঙ্গলবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির অফিসের বাইরে আচমকাই ভিড় জমে যায়। এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল এক যুবকের হাত পা বাঁধা অবস্থায় একদল লোক তাঁকে টেনে নিয়ে আসছেন। গলায় ঝুলছে ইডির লোগো বসানো একটা আইকার্ড। জানা গিয়েছে, এদিন প্রদীপকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে বেশ কিছু উত্তেজিত মানুষ। তদের অভিযোগ নিজেকে ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে ওই তাদের পরিবারের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে করার চেষ্টা করেন। এমনকি অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই পরিবারের থেকে টাকা নিয়েছে বলেও দাবি করে অভিযোগকারীরা। ইডি অফিসের সামনেই অভিযুক্তকে বেধরক মারধর করে তারা।
আরও পড়ুন: পর্ণশ্রীতে আত্মঘাতী পুলিশকর্মী
সোনারপুরের বাসিন্দা প্রদীপ সাহার সঙ্গে বিরাটির বাসিন্দা একটি মেয়ের সোশ্যাল মিডিয়াতে যোগাযোগ হয়। এরপর তাদের মধ্যে পরিচিতি বাড়ে এবং অভিযুক্ত প্রদীপ সাহা নিজেকে ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায়। এমনকি মেয়েটির সঙ্গে বিয়ের কার্ড পর্যন্ত ছাপা হয়ে গিয়েছে। এরপর মেয়েটির পরিবারের লোকেদের সন্দেহ হওয়ায় তারা ইডি দফতরে এসে প্রদীপ সাহার সম্বন্ধে খোঁজ নিলে জানতে পারে, ওই নামে কেউ ইডি অফিসে কাজ করে না। এরপরই মঙ্গলবার প্রদীপ সাহাকে বেঁধে নিয়ে তারা উপস্থিত হয় ইডির অফিসে। ইডি অফিসের বাইরে অভিযুক্ত প্রদীপ সাহাকে মারধর করে তারা। এছাড়া যুবকের কাছে আরও একটি ভিজিটিং কার্ড পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি পরিবারের। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ওই যুবকের আবার পরিচয় দেখা যাচ্ছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল সেলের অফিসার। কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির নাম করে বিবাহযোগ্য তরুণীদের ফাঁদে ফেলতেন প্রদীপ। এমনকী তাদের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতানোর কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল যুবক, অভিযোগ যুবতীর পরিবারের। প্রদীপকে ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ওই তরুণীর পরিবার।
আরও অন্য খবর দেখুন