কলকাতা: সন্দেহভাজন ৩ জঙ্গির ফোনের খোঁজে পুকুরে নামানো হতে পারে ডুবুরি। এসটিএফ ধৃত ওই তিন জঙ্গিকে নিয়ে আজ তল্লাশি চালাতে পারে। ধৃতরা হরিদেবপুরের যে বাড়িতে থাকতো তার সামনের পুকুরে নিজেদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ফেলে দিয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। সেই কারণেই আজ তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ডুবুরি নামিয়ে পুকুরে তল্লাশি চালানো হতে পারে।
গত রবিবার এই তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। নাজিউর রহমান, সাব্বির ও রবিউল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসে নাম ভাঁড়িয়ে হরিদেবপুরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন তারা একটি ফোন বেশিদিন ব্যবহার করতেন না। ব্যবহার করা ওই ফোন তারা বাড়ির সামনের পুকুরে ফেলে দিতেন। এই ফোন উদ্ধার করতে পারলে তদন্তে অনেক সাহায্য হবে। এই ফোনের মাধ্যমে জানা যাবে যে ধৃতরা কাদের কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বা কাদের সঙ্গে কথা বলতেন।
ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় সাইকেলে করে খেলনা-মশারি বিক্রি করতো তারা। তবে, এই খেলনা ফেরি কী শুধুই রুটিরুজির জন্য, নাকি এলাকায় ঘুরে ঘুরে রেইকি করতো, তা খতিয়ে দেখছেন এসটিএফের আধিকারিকরা। এছাড়াও নিজেদের সংগঠনের জন্য ফান্ড কালেকশন করার অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছিল জঙ্গীরা। অনলাইন ব্যবসার জাল বুনেছিল তারা। এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করত জামাতুল মুজাহিদীন জঙ্গিগোষ্ঠীর অন্যতম শীর্ষ কর্তা আল আমিন। কাসিমপুর জেলে বসেই এই ব্যবসা চালাত সে। বাইরে থেকে এই ব্যবসায় সহযোগিতা করত তার আত্মীয় নাজিউর রহমান ওরফে জয়রাম বেপারী ওরফে পাভেল।
ফান্ড কালেকশন করার জন্য অনলাইনে চালানো এই ব্যবসার নাম দেওয়া হয়েছিল HALAL and FRESH। এই অনলাইন ব্যবসার সাহায্যে জেলের বন্দীদের কাছে পৌঁছে যেত জামাকাপড় সহ সবরকম খাবারদাবার। শুধু তাই নয় নিজেদের বাড়ির লোক এবং আত্মীয়-স্বজনদের কাছেও পৌঁছে যেত যা তারা অর্ডার দিত তাই। পেমেন্ট নেওয়া হতো ক্যাশ অথবা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস এর মাধ্যমে। এবার তাদের ফোন হাতে পাওয়া গেলে আরও অনেক নতুন তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী কলকাতা পুলিশের এসটিএফ দল।