কলকাতা: ফের ফুটবল মাঠের নক্ষত্রপতন। প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। কিংবদন্তি ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত গত ২৩ জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের ধারে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। করোনা ছাড়াও শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল তাঁর। অবশেষে বৃহস্পতিবার সব লড়াইয়ের অবসান ঘটল।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ক’দিন পরেই তাঁকে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। তারপরেও তাঁর শারীরক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা কম ছিল। সঙ্গে ছিল শ্বাসকষ্ট ও কাশি। যে কারণে সেই থেকে তিনি ভেন্টিলেশনেই ছিলেন। বুধবার সন্ধে পর্যন্ত তাঁর অবস্থা সংকটজনক থাকলেও স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু রাতে আচমকাই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত্যু ঘটে এই প্রাক্তন ফুটবলারের। সুরজিতের প্রয়াণে ফুটবলমহলে শোকের ছায়া। টুইটে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গলফগ্রিনের উদয় সদনে সন্ধে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ফুটবলারের মরদেহ রাখা থাকবে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।
এই প্রাক্তন ফুটবলারের চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ড। রাজ্য সরকার চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছিল। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস নিয়মিত ব্যক্তিগত ভাবে চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর রাখতেন। শোকস্তব্ধ তিনিও। কিছুদিন আগেই মৃত্যু হয় আর এক প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার সুভাষ ভৌমিকের। কাকতালীয় ভাবে সুভাষ ভৌমিকেরও মৃত্যু হয় করোনাতেই। অবশ্য তাঁর অন্যান্য উপসর্গও ছিল। সুরজিতের থেকে কয়েক বছরের বড় ছিলেন সুভাষ। তবে, দু’জনেই বহু বছর একসঙ্গে বাংলার ফুটবল ময়দান কাঁপিয়েছেন।
আরও পড়ুন- Sandhya Mukherjee: সন্ধ্যায় আকাশে বিলীন হয়ে গেলেন সন্ধ্যা
Lost veteran star footballer Surajit Sengupta today. Heartthrob of football fans and an outstanding national sportsman as well as a perfect gentleman, he will ever be in our hearts.
Deepest condolences.— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 17, 2022
ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ক্লাবে তো খেলেছেন বটেই। জাতীয় দলেও তিনি প্রতিনিধিত্ব করেন। অংশ নেন এশিয়ান গেমসেও। শুধু ফুটবলার হিসেবেই নয়, সংস্কৃতির জগতেও যথেষ্ট পরিচিতি ছিল সুরজিতের। তিনি নিজে ভাল গান গাইতে পারতেন। তাঁর ছেলেও বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী। বাংলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। অত্যন্ত অমায়িক ছিল সুরজিতের ব্যবহার। শুধু সহকর্মীই নন, অনেক সাধারণ মানুষের বিপদেও তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন।