কলকাতা: নারদ মামলার চার্জশিট কাণ্ডে বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে তদন্তকারী সংস্থার মধ্যে ‘চিঠির লড়াই’ অব্যাহত। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের তলব করা সত্বেও বুধবার বিধানসভায় সশরীরে হাজির হলেন না ইডি, সিবিআইয়ের দুই আধিকারিক। পরিবর্তে চিঠি পাঠিয়ে দায় সারল তদন্তকারী সংস্থাটি। পরিবর্তে এদিন বিধানসভার সচিবালয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত কারী সংস্থাগুলির তরফে দুটি চিঠি জমা পড়ে। যদিও সেই চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
তবে ইডি, সিবিআইয়ের দাবি করে নিয়ম মেনেই তাঁরা নারদ মামলায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম চার্জশিভুক্ত করেছে। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, কোনও রাজ্যের মন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে গেলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভার স্পিকারের সম্মতি থাকা জরুরি। যদিও এই ক্ষেত্রে সেই রীতি মানা হয়নি বলেই রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ। তবে স্পিকারের অনুমতি না নিলেও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সম্মতি পেয়েছিলেন। দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের। এই বিষয়টিকে বিধানসভার মর্যাদাহানি বলে মনে করেন স্পিকার।
সেই ইস্যুতেই ওই দুই তদন্তকারী সংস্থার দুই আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়ে তলব করেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জবাবেই এবার পাল্টা চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি।
বুধবার বিধানসভায় হাজির হওয়ার কথা ছিল সিবিআই আধিকারিক সত্যেন্দ্র সিং এবং ইডি আধিকারিক রথীন বিশ্বাসকে। কিন্তু স্পিকারের ডাকে তাঁরা উপস্থিত না হওয়ায় বিতর্ক ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। এমন পরিস্থিতিতে পরবর্তী কী পদক্ষেপ নিতে পারেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে প্রচারে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন বিজেপি সভাপতি
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নারদ কাণ্ডের প্রেক্ষিতেই এই চার্জশিত প্রস্তুত করে তদন্তকারী সংস্থা দুটি। চার্জশিটে দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও নাম রয়েছে মদন মিত্র ও প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। বিধানসভা ভোটের পর গত ৭ মে ওই চার নেতাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা দুটি। যা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। বর্তমানে মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারাধীন।