কলকাতা: ক্যানিংয়ের হাটপুকুরিয়ায় সিরাজুল ইসলাম ঘরামি উপর হামলার ঘটনায় বিধায়ক, আইসি (IC) ও এসডিপিওর (SDPO) বিরুদ্ধে FIR দায়ের করার নির্দেশ খারিজ করল প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননমের ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। সেই সঙ্গে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার গতি প্রকৃতি নিয়ে কেন্দ্রের আইনজীবী বিল্বল্লদল ভট্টাচার্যের কাছে মৌখিকভাবে রিপোর্ট তলব করেছেন প্রধান বিচারপতি। এছাড়াও ঘটনার দিনের সিসি টিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা এবং ১৫ জুলাই পর্যন্ত সিরাজুল ইসলামের বাড়ির সামনে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী রাখার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে হিংসাত্মক পরিস্থিতিতে পুলিশের নিস্ক্রিয়তা নিয়ে ক্যানিংয়ের এসডিপিও এবং স্থানীয় আইসির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি.এস শিভগননমের ডিভিশন বেঞ্চের শরণাপন্ন হয়েছিল শাসকদল। সেই মামলারই শুনানি ছিল বুধবার।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | দফাওয়ারি পঞ্চায়েত ভোটের দাবি খারিজ আদালতে
রাজ্যের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আদালতে বলেন, পুলিশ বা বিধায়কের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ দুই দলের সংঘর্ষ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
এদিকে সিরাজুল ইসলাম ঘরামির আইনজীবী সৌরভ চট্টোপাধ্যায় জানান, ১১ জুন কয়েকজন নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে বিডিও অফিসে যাওয়ার সময় বেশ কিছু দুস্কৃতী তাদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে। এসডিপিও ও আইসি-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তারা কোনওরকম ব্যবস্থা নেননি। পাল্টা এসডিপিও ও আইসি দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বন্দুক নিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে নির্দল প্রার্থীদের লক্ষ্য করে। তাতে সাত জন জখম হয়ে বিভিন্ন হাসপতালে এখনও চিকিৎসাধীন।
আইনজীবী আরও জানান, এসপিকে অভিযোগ জানানো হলে তিনি গুলিতে জখম দু’জনের নামে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেন। এমনকী , তিনি এসডিপিও বিধায়ক এবং আইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেননি।