কলকাতা: ধর্মতলায় বিজেপিকে সভা (Dharmatala BJP Rally) করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পূর্বনির্দিষ্ট শর্ত অনুযায়ী ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই ২৯ নভেম্বর বিজেপির সভা হবে বলে আদালত জানিয়ে দিয়েছে। এই মর্মে সভার অনুমতি দিতে পুলিশকে নির্দেশ হাইকোর্টের। ওই সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভাষণ দেওয়ার কথা।
শুক্রবার মামলার শুনানিতে একক বেঞ্চের রায়কে বহাল রাখল প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননমের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানান, এখানে যখন-তখন, যেখানে-সেখানে মিটিং মিছিল হয়ে থাকে পুলিশের অনুমতি ছাড়াই। মিছিলের ধাক্কায় জনজীবন স্তব্ধ হয়। পুলিশ অসহায় অবস্থায় থাকে। আদালতের হুঁশিয়ারি, তেমন হলে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামেন ২১ জুলাইয়ের সভাও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
রাজ্য সরকার আদালতে জানায়, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে নয়। রানি রাসমণি রোড অথবা ওয়াই চ্যানেলে সভা হোক। দুই জায়গাতেই অন্তত দশ হাজার লোক ধরবে। ২০০ গাড়িও রাখা যাবে। বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলা করার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: পরিবহন মন্ত্রীর কাজ নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করার অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেছিল বিজেপি। প্রথম আবেদন খারিজ হলে ৬ নভেম্বর নতুন আবেদন পেশ হয়। সেটিও খারিজ হওয়ায় বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হয়। মামলা যায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ঘরে। পুলিশি সিদ্ধান্ত খারিজ করে সভার অনুমতি দিতে বলেন বিচারপতি মান্থা। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। তাদের দাবি, সঠিক সময়ে আবেদন করা হয়নি। ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, অন্তত ২১ দিন আগে দ্বিতীয় আবেদন করা হয়েছে। পুলিশের অ্যাডভাইসারি আবেদন প্রক্রিয়াকরণের জন্য। তা স্থবির কোনও বস্তু নয়। সেই কারণে বিজেপির আবেদন বাতিল করার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়।
আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, বিজেপির সভার অনুমতি না দেওয়ার পিছনে পুলিশ বা রাজ্য সরকার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ দেখাতে পারেনি। বিজেপিরও দাবি, পুলিশ গায়ের জোরে সভা বন্ধ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আদালতের গুঁতো না খেলে তৃণমূলের ভাত হজম হয় না।
আরও অন্য খবর দেখুন