কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশ মতো অঙ্কিতা অধিকারী ফেরত দিলেন প্রথম কিস্তির টাকা। বেতনের টাকা। যে চাকরি তিনি পেয়েছিলেন স্কুল সার্ভিসের মেধা তালিকা কারচুপি করে। অঙ্কিতার বাবা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী প্রভাব খাটিয়ে মেধা তালিকা পরিবর্তন করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর চাকরীচ্যুত হন অঙ্কিতা। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় বেতন-সহ যা তিনি ‘অর্জন’ করেছেন সেই অর্থমূল্য ফেরত দিতে হবে।
হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল দু’দফায় অঙ্কিতাকে ওই টাকা ফেরত দিতে হবে। প্রথম কিস্তি দেওয়ার কথা ছিল গতকাল, মঙ্গলবার ৭ জুনের মধ্যে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো মঙ্গলবার সেই টাকা আদালতে ফেরত দেন অঙ্কিতা।
২০১৮ নভেম্বরে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন অঙ্কিতা। সেই সময়ে তাঁর মোট বেতন ছিল ৩৮ হাজার ৬০৪ টাকা। বেসিক ছিল ১৫ হাজার ৯৬০। ১২৫ শতাংশ ডিএ। ১৫ শতাংশ এইচআরএ। ৩ শতাংশ মেডিক্যাল। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষাকা হিসেবে ১ বছর বাদে তাঁর বেতন বেড়ে হয় ৪৯ হাজার ৪৯০। সেই হিসেবে তিনি গত ৪১ মাসে তিনি বেতন পেয়েছেন প্রায় ২০ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন- Abhijit Ganguly: হাইকোর্টের দাপুটে বিচারপতি হেনস্তার শিকার, বলছেন ‘ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর’
হাই কোর্টের অনুযায়ী, মোট দুটি কিস্তিতে অঙ্কিতা অধিকারীকে এই ২০ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। ৭ জুন এর মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার নির্দেশ ছিল। যা তিনি ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছেন। আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা শোধ করতে হবে পরেশ কন্যা অঙ্কিতাকে।