কলকাতা : উপনির্বাচনের আগেই রদবদল রাজ্য বিজেপিতে। দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদ থেকে। তাঁর কুর্সিতে বসেছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রচার শুরু করেছেন তিনি। এর মধ্যেই দিলীপ ঘোষ। জানালেন, আপাতত প্রচারে থাকছেন না তিনি।
বুধবার সকালে ইকোপার্কে মর্নিং ওয়াক করতে আসেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি জানান নিজের আগামী দিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে। বলেন, ভোট প্রচার চললেও আপাতত কয়েকদিন তিনি থাকছেন না বলে জানালেন। ফলে, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের প্রচারেও দেখতে পাওয়া যাবে না তাঁকে। যদিও কোনও কাজে যাচ্ছেন নাকি হাওয়া বদলে সেই বিষয় স্পষ্ট করেননি কিছু। তবে, শেষ দুই-তিন দিন ভবানীপুরের প্রচারে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষের মেয়াদ ছিল ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু, তার আগেই আচমকা, দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়েছে। নতুন সভাপতিকে টুইটারে অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন প্রাক্তন সভাপতি। কিন্তু সভাপতির সম্বর্ধনা সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি তাঁকে।
আরও পড়ুন – দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ভিড় , করোনা অজুহাতে বিজেপির মিটিং-মিছিলে বাধা, দাবি নতুন সভাপতির
এই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘রাতের বেলা ঘোষণা হওয়ার ফলে অনেকেই আসতে পারেননি। সবার আসার কথাও ছিল না। আমারও অন্য কাজ থাকার কারণে আমি যেতে পারিনি।’ এছাড়াও তিনি জানান পার্টির পক্ষ থেকে ২০ দিনের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সেখানেই সবাই ব্যস্ত আছেন।
তাঁকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তাঁর ভুমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, রাজ্যে দায়িত্বপ্রাপ্তরা এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যেভাবে নির্দেশ দেবেন তিনি সেভাবেই কাজ করবেন।
আরও পড়ুন – গরুর দুধে সোনা রয়েছে বলেই বিশ্বাস করেন বিজেপির অধ্যাপক সভাপতি
এছাড়াও তিনি জানান, রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে থাকাকালীন তাঁকে গোটা রাজ্যে ঘুরতে হত। তাই মেদিনীপুরে বেশী সময় দিতে পারতেন না। এখন তিনি সেখানেই সময় দেবেন। মেদিনীপুরে বন্যা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে তিনি ত্রাণের কাজ শুরু করেছেন বলে জানালেন।