কলকাতা: গ্রামে গ্রামে কারা বোমা ফাটাচ্ছে, কারা সাপ্লাই করছে বোঝাই যাচ্ছে। এখন তো পরিষ্কার হয়ে গেল বুধবার নিউটাউন প্রাতঃভ্রমনে এসে ভাঙড়ের বোমাবাজির প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলের গাড়ির ড্যাশ বোর্ড থেকে উদ্ধার হয় তাজা বোমা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যখন অভিযোগ করি তৃণমূলের লোকেরাই বোমার কারখানা করছে, বোমা বিক্রি করছে, বোমা ফাটাচ্ছে। তখন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা আমাদের দিকে আঙুল তোলে! এখন তো পরিষ্কার হয়ে গেল।
ভাঙড়ের যখন আইএসএফ (ISF) ও তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত, তখন, কাঁঠালিয়া চৌমাথা এলাকায় এখানেই এই তিনটে গাড়িতে ব্য়াপক ভাঙচুর চলে। এরপরই দেখা যায়, ৩টির মধ্য়ে ২ টি গাড়িতে রয়েছে তাজা বোমা। সূত্রের খবর, ভাঙচুর হওয়া তিনটে গাড়ির মধ্যে এই সাদা গাড়িটি আরাবুল ইসলামের ছেলে, হাকিমুলের। বুধবার এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, গ্রামে গ্রামে কারা বোমা ফাটাচ্ছে, কারা সাপ্লাই করছে বোঝাই যাচ্ছে। নেতার গাড়ির মধ্যে বোমা নিয়ে ঘুরছে। কিরকম আহাম্মক দেখুন! এটা যদি কোন কারণে ফাটে গাড়িও তো উড়ে যাবে, যে থাকবে গাড়ির ভিতরে সে মারা যাবে। এরা এত বেপরোয়া হয়ে গিয়েছে যে নেতা গাড়িতে বোমা নিয়ে ঘুরছে । ভয় দেখাতে কোমরে পিস্তল নিয়ে ঘুরছে। এরা জানে এদের গাড়িতে পুলিশ হাত দেবে না তাই তো গাড়ির ভিতরে বোমা নিয়ে ঘুরছে। এই সব দেখার পরও নির্বাচন কমিশন বলছে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হবে।
আরও পড়ুন: National Human Rights Commission | জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলা
হাইকোর্টের কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্দেশের প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, সরকার যখন সিদ্ধান্ত নেয় না তখন মানুষ আদালতে যায়। সরকারের উপর মানুষের ভরসা চলে যায় তখন আদালতে যায়। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিজেপির জন্যই তো সেন্ট্রাল ফোর্সের (Central Force) কথা উঠলো। লাঠিধারী পুলিশ চলবে না বলেছে। এটা শুধু বিজেপির নয়। সব বিরোধীদলেরই দাবি। সরকারি কর্মচারীরা এখনও দাবিতে অনড় আছেন যে কেন্দ্রীয় বাহিনী না হলে তারা নির্বাচন করবেন না। তাদের তাদের প্রাণের ঝুঁকি আছে। সেই কথা নিয়েই বিজেপি আদালতে গিয়েছে।
এদিন ফের চেনা ছন্দে তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ শানালেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, বিরোধীরা নয় তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরাও আদালতে যাচ্ছে ন্যায় পাওয়ার জন্য। সরকার কোন সিদ্ধান্ত নেয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথার ঠিক নেই; কখন কি বলেন; কখন কি করেন। এখন তো শুধু নেতাদের আর ভাইপোকে বাঁচাতেই তিনি ব্যস্ত!সব জায়গায় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। এখনও পর্যন্ত বিজেপি এগিয়ে আছে। প্রথম দুদিন তো প্রশাসন প্রস্তুতি ছিল না, মনোনয়ন নেওয়ার জন্য। সরকারি কোনও নোটিস ছিল না; অভিজ্ঞতা নেই। তৃণমূল কংগ্রেস তো মনোনয়ন জমা করতে পারিনি, মনে হয় আজ ও কাল তারা করবেন। তাদের জন্যই মনে হয় মনোনয়নের ডেট এক্সটেনশন করতে হবে।