কলকাতা: দিঘার জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Mandir) নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। আবেদনকারীর দাবি, জগন্নাথ ধামে অনুদান দিলে আয়করে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সরকার কখনও মন্দির তৈরি করতে পারেনা। তাহলে যদি এটা মন্দির না হয় তাহলে কি করে আয় করে ছাড় দেওয়া হচ্ছে এই নিয়ে তদন্ত হোক। জগন্নাথ ধাম ট্রাস্টের নামে ওই মন্দির পরিচালিত হচ্ছে। একটা ট্রাস্ট কী করে হিডকোর অফিস ব্যবহার করতে পারে, এই নিয়েও তদন্তের নির্দেশ দিক হাইকোর্ট, দাবি আবেদনকারীর। এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিক হাইকোর্ট। ১০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। সেই মতো বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। জগন্নাথ ধামে সিভিক ভলেন্টিয়ার্স নিয়োগ করা হবে। কিসের ভিত্তিতে এই সিভিক ভলেন্টিয়ার্স নিয়োগ হবে তা আদালত জানতে চাওয়া হোক। আদালতে দাবি করেন আবেদকারী। কলকাতা হাইকোর্ট মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয়।
আরও পড়ুন: অফিস টাইমে ফের ব্যাহত মেট্রো চলাচল, ৩০ মিনিট পর স্বাভাবিক পরিষেবা
আবেদনকারীর স্পষ্ট দাবি, জগন্নাথ মন্দিরের জন্য অনুদান দিলে কর ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সরকার কখনও মন্দির তৈরি করতে পারে না। আর দিঘার এই মন্দির যদি সংস্কৃতি কেন্দ্রের অংশ হলে কী করে কর ছাড়ের কথা বলতে পারে? এই নিয়ে তদন্ত দাবি করেন আবেদনকারী। দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের কথাও জানান। তারপর ক্যাবিনেটের বৈঠকে ওই ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের বিষয় পাশও হয়। মুখ্যসচিবের নেতৃত্ব মোট ১১ জন অফিসার, ইসকন, কালীঘাট মন্দির, পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশনের একজন করে প্রতিনিধি নিয়ে মোট ২৭ জনের ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়।আবেদনকারী আরও জানান, ট্রাস্টের নামে ওই মন্দির এখন পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু ওই ট্রাস্টকে অর্থদান করলে হিডকোর ঠিকানা দেখাচ্ছে। একটা ট্রাস্ট কী করে হিডকোর অফিস ব্যবহার করতে পারে? সেই প্রশ্ন তুলেছেন আবেদনকারী। এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিক আদালত দাবি করেন আবেদনকারী। এবার এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী।
দেখুন ভিডিও