কলকাতা: পিজিতে (PG Hospital) ধৃত প্রভাবশালীদের অবস্থান হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে। প্রতিষ্ঠান অধিকর্তার রিপোর্ট তলব প্রধান বিচারপতির। সিবিআই (CBI) ও ইডি (ED) যাঁদের ধরছে, তাঁরা জেল হেফাজত থেকে সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে ঠাঁই নিচ্ছে। মন্ত্রী থেকে প্রভাবশালীদের নিরাপদ আস্তানা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সাধারণ মানুষের ভালো চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ দুটি জনস্বার্থ মামলায়।
প্রভাবশালীদের জন্য ‘সেপারেট ব্লক’ বা আলাদা ব্যবস্থা করলেই হয়। মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। গ্রেফতারির পর ১৫ দিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেফাজতে রাখা যায়। এরপর জেল সুপারের সুপারিশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃতরা সরকারি হাসপাতালের ঠাই নিচ্ছেন। তাই জেল সুপারদের বক্তব্য জানা যেতে পারে। অভিমত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আইনজীবীর।
আরও পড়ুন: পুলিশের গাড়িতে মালবাহী গাড়ির ধাক্কা, মৃত্যু দুই পুলিশকর্মীর
জেল কোড বা কারাবিধি অনুযায়ী রোগীর রুটিন চেকআপ করতে হয়। কিন্তু এই প্রভাবশালীদের ক্ষেত্রে তেমন রুটিন চেকআপের রিপোর্ট হাসপাতাল ও সুপারের মধ্যে আদান-প্রদান হয় কি না জানা নেই। অভিমত সিবিআই আইনজীবীর। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দ্বারা ধৃতদের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন এইমসে বা ইএসআই হাসপাতালে রাখার নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। অভিমত অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের।
কেউ প্রভাবশালী নয়। হাসপাতালে আসা সকলকেই রোগী হিসেবে পরিষেবা দেওয়া হয়। দাবি রাজ্যের। অভিযোগের বিষয়বস্তু অত্যন্ত মারাত্মক। কিন্তু আদালত রোগ বা রোগীর মূল্যায়ন করতে পারে না। কিন্তু ডাক্তারদেরও সৎভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। কোনও ধৃত চিকিৎসার স্বার্থে কতদিন হাসপাতালে থাকতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা দরকার। অভিমত আদালতের।
আরও খবর দেখুন