কলকাতা: কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও এগিয়ে বাংলা৷ বুধবার বিধানসভায় এমনই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ রাজ্য বিধানসভায় পেশ হয় মা-মাটি-মানুষ সরকারের পূর্ণাঙ্গ বাজেট৷ অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অসুস্থ থাকায় বাজেট পেশ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ বাজেট বক্তৃতায় পার্থবাবু বলেন, ‘২০২০-২১ অর্থবর্ষে বাংলার জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে৷ যা সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সদর্থক পদক্ষেপের জন্য৷’ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দেন অর্থ দফতরকে৷ তিনি বলেন, ‘দেশের তুলনায় আমাদের ই-গর্ভন্যান্স খুব ভালো৷ ইজ অফ বিজনেজ খুব ভালো৷ আমরা দারুণ কাজ করছি৷ আমরা ফাইনান্সিয়াল ডিসিপ্ল্যান মেনটেন করছি৷ অর্থ দফতর দারুণ কাজ করেছে৷ অমিত মিত্রকে এবং তাঁর পুরো টিমকে শুভেচ্ছা৷’
আরও পড়ুন: বিজেপির যুবমোর্চা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা সৌমিত্রর
আগামী মাসেই শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি৷ সেখান থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেওয়া শুরু হবে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী অগাস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে দুয়ারে সরকার৷ চলবে পরের বছর জানুয়ারি অবধি৷ ওই ক্যাম্প থেকে মিলবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড৷
আরও পড়ুন: ৭ কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট পেশ
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানান, ইয়াসের জন্য ২১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু কেন্দ্র দিয়েছে মাত্র ৩০০ কোটি টাকা৷ ৬০ হাজার কোটি টাকা থেকে রাজ্য বঞ্চিত৷ কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে রাজ্য তাদের ভাগের টাকাই পেয়েছে৷ তবুও এত কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও বাংলা এগিয়ে৷ কেন্দ্র দেশের অর্থনীতি শেষ করে দিয়েছে৷
আরও পড়ুন: সত্যি কী ব্রিকসে গেছিলেন সনাতন, ফেসবুক তদন্তে পুলিশ
পেট্রোল-ডিজেল এবং এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি জানান, পেট্রোপণ্যের দাম বাড়িয়ে ৩.৭১ লক্ষ কোটি টাকা রোজগার করেছে কেন্দ্র৷ পেট্রোল-ডিজেল নিয়ে লেখা চিঠির জবাব কেন্দ্র দেয়নি৷ এলপিজি-র দাম বাড়িয়েই চলেছে৷ পরিসংখ্যান তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘২০২০ সালে এই সময় গ্যাসের দাম ছিল ৫৮৪.৫০ টাকা৷ এবছর ১ জুলাই পর্যন্ত ২৭৬.৫০ টাকা বেড়েছে৷ পেট্রোল-ডিজেল থেকে আয়ের প্রায় ৪ লক্ষ টাকা মজুত আছে৷ পিএম থেকে আরও রোজগার করেছে৷ আগে প্ল্যানিং কমিশন ছিল৷ কথা বলতে পারতাম৷ এখন কিছু বলতে পারি না৷’