কলকাতা: বিধানসভা চত্বরে (Assembly Premises) কোনও বিক্ষোভ (Agitation), সমাবেশ কিংবা জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। শুক্রবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) এমনই নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাঁর নির্দেশ, বিক্ষোভ করতে গেলে স্পিকারের অনুমতি নিতে হবে। এ ছাড়া বিধানসভার লবিতে কোনও অশালীন আচরণ করা যাবে না। শাসক এবং বিরোধী উভয় পক্ষের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য।
এদিন স্পিকার আরও ঘোষণা করেন, বিধানসভার অধিবেশন বা কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর কোনও বিধায়ক আর সেখানে থাকতে পারবেন না। শাসকদল এবং বিরোধী দলের সকল সদস্যকেই এই নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় দ্রুত চার্জ ফ্রেম করে বিচার শুরু করতে হবে জানাল কোর্ট
গত তিনদিন ধরে বিধানসভা চত্বরে তুমুল গোলমাল চলে। ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিন বিধানসভা প্রাঙ্গণে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে শাসকদলের দুই ঘণ্টা ধরে অবস্থান কর্মসূচি ছিল। গত দুদিন সেই অবস্থান চলাকালীন বিরোধী বিজেপি সদস্যরাও পাল্টা অবস্থান চালান বিধানসভার গেটে। বুধবার তৃণমূলের অবস্থানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দুই অবস্থান থেকেই মঙ্গলবার এবং বুধবার একে অপরকে উদ্দেশ্য করে চোর, চোর স্লোগান দেয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করলেও তিনি বিধানসভা ভবনে উপস্থিত ছিলেন। বস্তুত তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপি সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রী চোর বলেও স্লোগান দেন। তৃণমূলের অবস্থানস্থল থেকে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হচ্ছিল। অভিযোগ, বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা লঙ্ঘন করেছে এবং জাতীয় সঙ্গীতের অমর্যাদা করেছে।
তৃণমূলের পরিষদীয় দল ১২ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করার দায়ে পুলিশে এফআইআর করে। তার আগে স্পিকারের নির্দেশে বিধানসভায় পুলিশ আসে। বিজেপি স্পিকারের পুলিশ ডাকার তীব্র বিরোধিতা করে। স্পিকার বিরোধী দলের আচরণের নিন্দা করেন। অবশেষে শুক্রবার তিনি বিধানসভা চত্বরে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন।
আরও খবর দেখুন