কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: দ্বিতীয় হুগলী সেতু বা বিদ্যাসাগর সেতুর ওপর একের পর এক দুর্ঘটনা রুখতে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিলেন হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) অর্ণব বিশ্বাস। বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজার কাছে ‘বাস বে’ চালু করছে পুলিশ।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই বাস বে চালু হচ্ছে। হাওড়া থেকে কলকাতাগামী সমস্ত লোকাল রুটের বাস গুলি এবার থেকে সেতুর শুধুমাত্র ৯ নম্বর লেন দিয়ে যাবে। হাওড়া থেকে কলকাতাগামী সমস্ত দূরপাল্লার বাস যাবে ১ থেকে ৫ নম্বর লেন দিয়ে।
এক্ষেত্রে টোলপ্লাজায় বাসগুলি কোনও যাত্রী ওঠানো ও নামানো যাবে না। মোটর বাইকের ক্ষেত্রে অবশ্য নিয়মে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। যেমন পাশের নির্দিষ্ট রাস্তা দিয়ে বাইক যেমন যাতায়াত করছে তেমনি করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ।
আরও পড়ুন- প্যান্টের কাপড়ের ভাঁজে সোনাপাচারের অভিনব চেষ্টা, বিমানবন্দরে ধরা পড়ে গেলেন যাত্রী
এই বিষয়ে গত শনিবার নবান্নের কাছে একটি জরুরি বৈঠক ডাকেন হাওড়া সিটি পুলিশ ডিসি (ট্রাফিক) অর্ণব বিশ্বাস। ১৩ টি বাস সংগঠনের মালিকরা এই বৈঠকে যোগদান করেন। বৈঠকে ছিলেন কলকাতা পুলিশের এসি (ট্রাফিক) তপন কুমার দে। দীর্ঘক্ষন বৈঠকের পর এই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কয়েকদিন আগে টোলপ্লাজা ছাড়িয়ে কাজীপাড়া স্টপেজের কাছে দুটি বাসের রেষারেষির ফলে মৃত্যু হয় একজন বাইক আরোহীর। এছাড়াও কাজীপাড়া স্টপেজের কাছে যাত্রী তোলার জন্য বাসের রেষারেষিতে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছিল। তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে এদিনের এই বৈঠক ডেকেছিল হাওড়া সিটি পুলিশ।
বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সাঁতরাগাছির পর কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে বিদ্যাসাগর সেতুর দিকে আসা বাসগুলি একটি নির্দিষ্ট পথে আসবে। এই পথের বিভিন্ন জায়গায় সেতুতে ওঠার জন্য দিক নির্দেশিকা বোর্ড লাগিয়ে দেবে পুলিশ।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টের শুনানি এবার এজলাসেই
টোল প্লাজার পরেই কাজীপাড়া রেলিং টপকে বাস ধরার জন্য দাড়িয়ে থাকে যাত্রীরা। তাঁদের তোলার জন্য টোল প্লাজার পর থেকেই রেষারেষি শুরু করে দেয় বাসগুলি। এছাড়াও কোন বাস আগে টোল প্লাজা ছাড়িয়ে কাজীপাড়া পৌঁছতে পারবে তার জন্য ফাঁকা লেন দেখলেই বাস ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তাতে রেষারেষি আরো বাড়ে।
ডিসি ট্রাফিক অর্ণব বিশ্বাস জানিয়েছেন,’বেআইনি কাজীপাড়া স্টপেজের বিষয়টা আমাদের দেখার নয়। এটা সম্পূর্ণ ভাবেই দেখবে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন। আমরা বিস্তারিত লিখে তাঁদেরকে রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি। এবার ওরা কি করবে সেটা ওদের বিষয়।’
