ওয়েবডেস্ক: ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন (Cyclone) । কলকাতাতেও ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা (Cyclone Alert) ! পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের (Bay Of Bengal) কাছে একটি সিস্টেম তৈরি হয়েছে, তা ধীরে ধীরে গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হতে পারে, তবে সেটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৬ থেকে ২২ মে’র মধ্যে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে, সেটি শক্তি বাড়িয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্র (RMC) অনুসারে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
RMC- র আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ এইচ আর বিশ্বাস জানিয়েছেন, এত তাড়াতাড়ি সিস্টেমটি কত শক্তিশালী আকার নেবে, তা বলা সম্ভব নয়, তবে আগামী চারদিনের মধ্যে আমরা এর গতিবিধির সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জানাতে পারব বলে আশা রাখছি।
আরও পড়ুন: আসছে ‘সুপার সাইক্লোন? ল্যান্ডফল কবে?
২০২০ সালের ২০ মে সুপার সাইক্লোন আমফান আছড়ে পড়েছিল, দক্ষিণবঙ্গ সহ কলকাতাকে তছনছ করে দেয়। গত পাঁচ বছরে পাঁচটি ঘূর্ণিঝড় বাংলা-বাংলাদেশ এবং বাংলা-ওড়িশা উপকূলে আঘাত হেনেছে। এই ঘূর্ণিঝড় কত শক্তিশালী হবে, বলা যাচ্ছে না। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম শক্তি, এটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া নাম।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামীকাল ১৩ মে আংশিক মেঘলা আকাশ, সেই সঙ্গে বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। ১৪ মে একই পরিস্থিতি বজায় থাকবে। ১৫ মে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে এবং মাঝারি বৃষ্টিপাত থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস। ১৬ মে আংশিক মেঘলা আকাশ, মাঝারি বৃষ্টিপাত বা বজ্র বৃষ্টিপাত সহ ঝড়ের পূর্বাভাস। ১৭ মে একই পরিস্থিতি বজায় থাকবে। ১৮ মে বৃষ্টি ও ঝড়ের সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
মে মাসেই বার বার ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা দেখা গেছে। মে মাসেই কেন ঘূর্ণিঝড়। আবহবিদদের বক্তব্য অনুযায়ী, বিশ্ব উষ্ণায়ন অন্যতম কারণ। এ ছাড়াও রয়েছে সমুদ্রের জলের উষ্ণতা বৃদ্ধি। এই মাসটি সাইক্লোন সিজন ও জলীয় বাষ্প যুক্ত পুবালী হাওয়া।
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বিএমডি ঝড়ো বাতাস সহ বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে বগুড়া, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট এলাকায়। নদী বন্দরগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।
দেখুন ভিডিও-