কলকাতা: ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছিলেন বংশগোপাল চৌধুরী। ছিলেন বামফ্রন্টের মন্ত্রী ছিলেন। আসানসোল আসন থেকে দু’বার সংসদ হন। পরবর্তী ক্ষেত্রে সিটুর সঙ্গে যুক্ত হন। সিপিএমের (Cpim) রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়াও বর্ধমান পূর্ব জেলা কমিটির সিটু জেলা সম্পাদক ছিলেন। সিপিএম নেত্রী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, যে বংশ গোপাল চৌধুরী তাঁকে নানাভাবে অশ্লীল এসএমএস পাঠিয়ে উত্ত্যক্ত করতেন।
আরও পড়ুন: শহিদ জওয়ান ঝন্টু শেখের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রথমে জেলা কমিটি তারপর রাজ্য কমিটির কাছে তিনি অভিযোগ করেন। এরপর সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনে এই বিষয় নিয়ে তিনি চিঠি দেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সরব হন। এরপরই সিপিএমের নতুন সম্পাদক মন্ডলীর বৈঠকে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য সম্পাদক এবং দুজন সম্পাদক মন্ডলী সদস্য। তাদেরকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
শনিবার বেশি রাতে দলের নেতা এবং কর্মীদের কাছে এই বার্তা পাঠানো হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, দল বিরোধী এবং একজন মহিলার সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করার কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। প্রসঙ্গত, তন্ময় ভট্টাচার্য তাকে ছমাসের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এর আগে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একই কারণে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তবে বংশগোপাল চৌধুরীর ক্ষেত্রে তাকে সরাসরি বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও দলের নেতাদের কাছে প্রবীণ এই সিপিএমের সদস্য জানিয়েছেন তার বিরুদ্ধে যে যা অভিযোগ করা হচ্ছে তা একেবারেই সত্য নয়।
দেখুন আরও খবর: