ওয়েব ডেস্ক: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানায় (Pahalgam Terror Attack) প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ পর্যটক। বিশ্বজুড়ে এই ঘটনা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। আর এবার এই জঙ্গি হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করলেন বাম (CPIM) নেতা মহম্মদ সেলিম (Mohammed Salim)। তাঁর অভিযোগ, এই হামলার পিছনে রয়েছে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র—যার উদ্দেশ্য বামপন্থীদের দমন করা।
মহম্মদ সেলিম বলেন, “সন্ত্রাসবাদীরা পাকিস্তানে বসে ছক কষছে। তাদের টার্গেট বামপন্থীরা। সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে তারা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। অথচ কেন্দ্রের নজর সেদিকে নয়।” তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “আরএসএস ও বিজেপি শুধু হিন্দুত্ব নিয়ে রাজনীতি করছে। প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন, তখন তিনি নির্বাচনী প্রচারে মধুবনীতে ব্যস্ত। এতে বোঝা যায়, তিনি সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আদৌ চিন্তিত নন।”
আরও পড়ুন: পহেলগাঁও হামলার নেপথ্যে ২৬/১১-র মূলচক্রী হাফিজ সইদ?
এছাড়াও রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর বাতিল করাকে উল্লেখ করে সেলিম প্রশ্ন তোলেন, “যেখানে এত পর্যটক যান, সেই পহেলগাঁওয়ে কেন নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল?” পাশাপাশি, ৩৭০ ধারা রদের পর পরিস্থিতি যে শান্ত হয়নি, তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তোমরা বলেছিলে ৩৭০ তুলে কাশ্মীরের উন্নতি হবে। তাহলে এমন হামলা কেন ঘটছে?”
সেলিম আরও অভিযোগ করেন, “ধর্মের নামে দেশকে ভাগ করা হচ্ছে। বাইরে থেকে টাকা আসছে, সিআইএ পর্যন্ত এতে যুক্ত। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসের মোকাবিলায় সাম্প্রদায়িকতা দিয়ে জবাব দিতে চাইছে। এটা বিপজ্জনক।” সোশ্যাল মিডিয়া এবং টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে যেভাবে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে, তা নিয়ে কেন্দ্র কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী এবং ময়ূখ রঞ্জনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন বাম নেতা।
দেখুন আরও খবর: