কলকাতা: চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বজন পোষণের অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। টাকা নিয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। কিন্তু এবার প্যানেল প্রকাশ না করে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হলে বৃহস্পতিবার রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় আদালত। টাকা নিয়ে যাদবপুরে ভর্তির অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ে সহকারী অধ্যাপকের জন্য আবেদন জানান সঞ্জীব রজক। তিনি একজন দৃষ্টিহীন অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য যে পদ সংরক্ষিত ছিল, সেখানে তিনি আবেদন জানান। এর পর ২২ সেপ্টেম্বর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিটির কাছে নিজের সকল নথি জমা দেন সঞ্জীব। কিন্তু পরে দেখা যায়, ওই পদের জন্য অন্য একজন ব্যক্তিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। যাকে নিয়োগ করা হয়েছে, তার শংসাপত্র ভুয়ো বলে দাবি করেন সঞ্জীব। এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি দেন। কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি।
এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন সঞ্জীব রজক। হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের হলে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রিপোর্ট তলব করেন হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। তিন সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি হবে।