রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ স্বস্তিদায়ক হচ্ছে। সোমবারের থেকে সামান্য কমল দৈনিক সংক্রমণ। সংক্রমণ নামল দু’হাজারের নীচে। মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। দু’সপ্তাহ আগেও কোভিডে মৃত্যু ছিল একশোর কাছে। সেখানে মৃত্যু গ্রাফে এই বড় পতন স্বস্তি দিচ্ছে। মঙ্গলবার রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৫২ জন। পজিটিভিটি রেট ছিল ৩.৬ শতাংশ। কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭২ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ২০৭ জন। মৃত্যু কমলেও তালিকায় শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। পাশাপাশি কলকাতা ১১, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১, হাওড়ায় ৩, হুগলিতে ৭, পূর্ব বর্ধমানে ১, নদিয়ায় ৪, জলপাইগুড়িতে ২, দার্জিলিঙে ১ ও আলিপুরদুয়ারে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১২ টি জেলায় কোন মৃত্যু হয়নি। গত ২৪ ঘন্টায় যত জন আক্রান্ত হয়েছেন সুস্থ হয়েছেন তার থেকে বেশি। মোট আক্রান্ত ১৪ লক্ষ ৮৫ হাজার ৪৩৮ জন। দ্বিতীয় ঢেউয়ের গ্রাফ নামলেও লড়াই জারি রয়েছে এখনও। এর মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেল্টা প্লাস। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে ভয়ংকর। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা ছাড়াও, করোনা পরীক্ষা ও টিকাকরণই করোনা রোধে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। রাজ্যে ২২ জুন ৯৫ হাজার ১১ জনের টিকাকরণ হয়েছে।
অন্যদিকে ২২ জুন নতুন করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে কেউ আক্রান্ত হননি। সুতরাং পরিবর্তন হয়নি মোট আক্রান্তর সংখ্যায়। তবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত সন্দেহের তালিকায় ৭ জন। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন মোট ১৪৭ জন। রাজ্যে মঙ্গলবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে ৮০ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ফাঙ্গাসের লক্ষণযুক্ত ৫৫ বছর ও ৬৮ বছর বয়সের ২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে মুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক ব্যক্তি।
এপর্যন্ত মোট মত্যু হয়েছে ১৬ জনের। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষণযুক্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৩৩।