কলকাতা: কলকাতা টিভি ওয়েবের খবরের জেরে শহর ও শহরতলীতে মুক-বধির দুষ্কৃতী কাণ্ডে এবার জোরদার তদন্ত এবং এই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তানিয়া চক্রবর্তীকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সেই কারণে এই কাণ্ডের নির্যাতিতাদের পাশে থাকা বিশিষ্ট ইন্টারপ্রেটার রজনী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Interpretor Rajani Banerjee) মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের অফিস থেকে ফোন করে বলা হয়, এ বিষয়ে জোরদার তদন্ত এবং সেইসঙ্গে মূল অভিযুক্ত তানিয়া চক্রবর্তীকে (Tania Chakraborty) গ্রেফতারের জন্য আমরা খড়দহ থানাকে নির্দেশ দিয়েছি। আপনি খড়দহ থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এই কথা শুনে রজনী বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার সন্ধ্যায় খড়দহ থানায় যান। এর পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য খোদ মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করায় খুশি হয়েছেন নির্যাতিতা মূক ও বধির তরুণীরা। শুরু হয়েছে জোরালো তদন্ত।
এই ঘটনা নিয়ে দু’মাস আগে প্রথম খবর প্রকাশ করেছিল কলকাতা টিভি ওয়েব। বাগুইআটির এক মূক-বধির গৃহবধূ খড়দহ থানায় অভিযোগ করে জানিয়ে ছিলেন, মূক ও বধির দম্পতি সঞ্জীব চক্রবর্তী এবং তানিয়া চক্রবর্তী বাড়িতে কাজের নাম করে ওই গৃহবধূকে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর বাথরুমে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে ওই গৃহবধূর আপত্তিকর ছবি তোলা হয়। সেই ছবি দেখিয়ে শুরু হয় ব্ল্যাকমেইলিং। প্রথমে ওই গৃহবধূকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতে থাকে সঞ্জীব চক্রবর্তী। এরপর তাঁকে দেহ ব্যবসার কাজে নামানো হয়।
পরে দেখা যায়, এই দলের সঙ্গে আরও অনেক দুষ্কৃতী জড়িয়ে রয়েছে। তাদের শিকার হয়েছেন একাধিক মূক-বধির গরিব তরুণী। তাঁরাও পুলিশের কাছে সঞ্জীব চক্রবর্তী এবং তানিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। চাপে পড়ে পুলিশ সঞ্জীব চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে। সে এখন রয়েছে জেল হেফাজতে।
আরও পড়ুন: বহিষ্কার করা হল কালনা শহর তৃণমূলের সভাপতি তপন পোড়েলকে
কিন্তু পুলিশ কিছুতেই মূল অভিযুক্ত তানিয়াকে গ্রেপ্তার করছিল না। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে মূক-বধিরদের সংগঠন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে চিঠি দিয়ে সমস্ত কথাই জানান তাঁরা। তাঁদের পাশে দাঁড়ান বিশিষ্ট ইন্টারপ্রেটার রজনী বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।