কলকাতা: দিল্লি রওনা হওয়ার আগে বিজেপি বিরোধিতায় সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ সোমবার চারদিনের জন্য দিল্লি যাবেন তিনি৷ তবে তাঁর যাওয়ার আগে গতকাল রাতেই সেখানে পৌঁছে ত্রিপুরার হিংসা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা৷ আজ সকাল থেকে নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অফিসের বাইরে ধরনা দেখাচ্ছেন ডেরেক ও ব্রায়েন এবং সৌগত রায়রা৷ তাই এদিন দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিমানবন্দরে নেমে তিনি সোজা চলে যাবেন নর্থ ব্লকে৷ সেখানে ধরনায় বসা তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে দেখা করবেন৷ তবে মমতা ধরনায় যোগ দেবেন না৷
আরও পড়ুন: ‘অনুমতি দিলেও পথসভা করব না’, আগরতলা পৌঁছেই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপিকে তুলোধনা অভিষেকের
অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী না যাওয়া পর্যন্ত তৃণমূল সাংসদরা ধরনা তুলবেন না সেটা মমতার কথাতেই ইঙ্গিত পাওয়া গেল৷ ত্রিপুরায় কর্মীদের উপর হামলা এবং সায়নী ঘোষের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাতে রবিবার রাতে দিল্লি গিয়েছেন ১৫ জন তৃণমূল সাংসদ৷ তাঁরা অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার সময় চান৷ কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে সাক্ষাতের সময় দেওয়া হয়নি৷ এ নিয়ে ক্ষোভ ঝরে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়৷ মমতা আজ বলেন, ‘একটু আগে ডেরেক আর কল্যাণের সঙ্গে কথা হল৷ এখনও পর্যন্ত অ্যাপয়নমেন্ট দেয়নি৷ কথা বলবার অধিকার নিশ্চয়ই আছে৷ কাল রাত থেকে অ্যাপয়নমেন্ট পায়নি৷ আমায় কাল রাত্রে বলেছিল হোম মিনিস্টারের বাড়ির সামনে অনশন করব৷ আমি বারণ করেছি৷ কারও বাড়ির সামনে যাওয়াটা ঠিক নয়৷ আজ সকাল থেকে অফিসের সামনে বসে আছে৷ কিন্তু ওরা একটু কার্টসি পর্যন্ত মেইনটেন করেনি৷ আমি আজকে দিল্লি যাচ্ছি৷ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অ্যাপয়নমেন্ট আছে৷ বিমানবন্দর থেকে আমি সাংসদদের সঙ্গে দেখা করতে যাব৷ তবে ধরনায় যোগ দেব না৷’
আরও পড়ুন: ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে চুপ কেন? মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে চিঠি তৃণমূলের
এর পাশাপাশি ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধে মমতার প্রশ্ন, ‘কোথায় হিউম্যান রাইটস? কোথায় হোম মিনিস্ট্রি? কোথায় ৩৫৫? ভারত সরকার কটা নোটিশ পাঠিয়েছে ত্রিপুরাকে? আমাদের এখানে এত নেতা ঘুরে গেছে৷ ৩৬৫ দিনে একটা করে নেতা এসেছে৷ কই আমরা তো কাউকে বাধা দিইনি৷ নাড্ডার ল্যাজে মানে কনভয়ের ল্যাজে কোথায় একটা গুন্ডা কী করেছিল তা নিয়ে হিউম্যান রাইটস, ৩৫৬ ধারা কত কী ইউজ করেছিল হোম মিনিস্ট্রি৷ ওরা সংবিধান মানে না৷