কলকাতা: ওয়াকফ আইনের বিরোধীতায় (Protest Bhangar Waqf Act) উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড় (Bhangar)। সংঘর্ষে জড়াল পুলিশ এবং আইএসএফ (ISF) কর্মীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার শিয়ালদহের রামলীলা ময়দানে আইএসএফের তরফে ওয়াকফ বিরোধী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, আইএসএফের কর্মী সমর্থকরা এদিন সেখানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। বাসন্তী হাইওয়েতে ভোজেরহাটের কাছে তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আইএসএফ কর্মীরা এগোতে চাইলে হাতাহাতি বেঁধে যায়। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের লাঠিচার্জ। অভিযোগ বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মীর মাথা ফেটে যায়।
ওয়াকফ আইন নিয়ে চড়ল বাংলার পারদ। মালদা-মুর্শিদাবাদের পর এবার উত্তপ্ত ভাঙড় (Chaos Bhangar)। এই আইনের প্রতিবাদে সোমবার রামলীলা ময়দানে প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল। আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, তারা কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেখানে ভাঙড়, মিনাখাঁ এবং সন্দেশখালির আইএসএফ কর্মী-সমর্থকেরা ছিলেন। কিন্তু বাসন্তী হাইওয়ের উপর বৈরামপুরের কাছে তাঁদের গাড়ি আটকে দিয়েছে পুলিশ। ভোজেরহাটেও তিন রাস্তার মোড় গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দিয়েছিল পুলিশ। বাধা পেয়ে সেখানে বিক্ষোভ দেখান আইএসএফ কর্মীরা।
পুলিশের দাবি, রামলীলা ময়দানে ওয়াকফ আইনের বিরোধীতায় যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে, সেই নিয়ে আগে থেকে থানায় কোনও অনুমতিপত্র জমা দেওয়া হয়নি। প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভকারীরা ময়দানের দিকে আসতে শুরু করেন। সেই জন্য বাসন্তী হাইওয়েতে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এরপর পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে থাকে তারা পুলিশ আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে পুলিশের। পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েকজনের মাথা ফাটার ঘটনা ঘটে।
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বলেন. মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন রাজ্যে নতুন ওয়াকফ আইন লাগু হবে না। রাজ্যে লাগু না হোক সেটা আমরা চাই। তাই জন্য আমরা শিয়ালদহে সমাবেশের আয়োজন করেছি। তাহলে সেখানে যেতে কর্মীদের বাধা দিল কেন পুলিশ? রাজ্য মিছিল কী শুধু তৃণমূল করবে।
অন্য খবর দেখুন