কলকাতা: সুপ্রিম রায়ে চাকরিহারা তাঁরা। যদিও এখনও সরকারের তরফে এখনও বরখাস্তের চিঠি পাননি তাঁরা হাতে। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন যোগ্যদের পাশে থাকার। চাকরি হারানোর প্রতিবাদে বুধবার কলকাতা থেকে জেলায় জেলায় পথে নেমেছেন চাকরিহারারা (SSC Job Cancellation)।কলকাতার রাস্তায় মিছিল চাকরিহারাদের। তিনদফা দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক। এদিন সকালে চাকরিহারাদের একাংশ জড়ো হন কসবার ডিআই অফিসের সামনে। তাঁরা যাতে ভেতরে ঢুকতে না পারেন সেই জন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ। ডিআই অফিসের গেটে তালা লাগিয়ে চাকরিহারাদের বাধা দিতে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছিল। গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে তালা ভাঙার চেষ্টা চাকরিহারাদের। তালা ভেঙেই ডিআই অফিসে ঢুকলেন আন্দোলনকারীরা। ডিআই অফিসে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি-হাতাহাতি চাকরিহারাদের। চাকরিহারা শিক্ষকদের (Jobless Teachers) একাংশের ওপর লাঠিচার্জ (Lathicharge) করল পুলিশ (Kolkata Police)। চাকরিহারাদের লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনায় একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক গুরুতর আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হওয়ার পর নেতাজি ইনডোরে চাকরিহারাদের সভায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের পাশে থাকার বার্তার দিয়েছেন। কিন্তু চাকরিহারাদের একটা বড় অংশ সেই আশ্বাসে ভরসা করতে পারেননি। ফলে বুধবার জেলায় জেলায় বিক্ষোভ হয়, তার আঁচ এদিন পড়ে কলকাতাতেও। ধবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ডিআই অফিস ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন চাকরিহারা ‘যোগ্য’ প্রার্থীরা। কসবার ডিআই অফিসে ঢুকতে চান তাঁরা। চাকরিহারাদের বাধা দিতে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছিল। সেই সময়ই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের। প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করার অভিযোগও উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের লাঠির ঘায়ে পড়ে যান এক শিক্ষক। কয়েকজনকে টেনে হিঁচড়ে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েন। ক্ষোভে ফেটে পড়েন সেখানে উপস্থিত অন্য চাকরিহারারা।
আরও পড়ুন: মেট্রো পরিষেবায় বড় বদল, জানুন নয়া সময়সূচী
বিক্ষোভকারী চাকরিহারাদের প্রশ্ন, ‘কেন মারা হল? বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ভালোই বেগ পেতে হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা। পুলিশের পাল্টা দাবি, শিক্ষকরা আইন ভেঙেছিলেন। সরকারি সম্পত্তি নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছিল। তা ঠেকাতেই বিক্ষোভকারীদের সরানো হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন