কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের পাঁচ কর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, জালিয়াতি, কারচুপির মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। ১৮ মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এবং একক বেঞ্চ এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায়ে যেরকম নির্দেশ দিয়েছিল, সেই নির্দেশ মোতাবেকই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপ।
যে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সিবিআই এফআইআর করেছে, তাঁরা হলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার, কমিশনের প্রাক্তন সচিব অশোককুমার সাহা, কমিশনের প্রাক্তন প্রোগ্রামার সমরজিৎ আচার্য এবং কমিশনের উপদেষ্টা তথা সুপারভাইসারি কমিটির আহ্বায়ক শান্তি প্রসাদ সিনহা। এছাড়া স্কুল সার্ভিস কমিশনের আরও বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় অফিসারের বিরুদ্ধেও সিবিআই এফআইআর করেছে।
এসএসসির গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-র শিক্ষাকর্মী এবং নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে হাইকোর্টে অনেকদিন ধরেই মামলা চলছে। অনেক টানাপড়েনের পর হাইকোর্ট সাতটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সরকার তথা স্কুল সার্ভিস কমিশন সিবিআই তদন্ত ঠেকানোর জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। যদিও তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি।
আরও পড়ুন- Paresh Adhikary: সাড়ে ৩ ঘণ্টা! তৃতীয়বার জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজাম প্যালেস ছাড়লেন পরেশ
নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে পাঁচ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে। আদালত যাবতীয় অনিয়মের ক্ষেত্রে অভিযোগ তুলেছে এই কমিটির বিরুদ্ধে। এমনকি হাইকোর্ট এই কমিটিকে বেআইনি বলেও জানিয়ে দিয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে এই কমিটির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা মানতে চাননি। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গড়ে দেয়। সেই কমিটিও এই পাঁচ কর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে।