নয়াদিল্লি: ওয়াকফ আইনের (Waqf Amendment Act) বিরোধীতায় অশান্ত মুর্শিদাবাদ-মালদহ-ভাঙড়। এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Situation) পরিস্থিতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা দায়ের হল। বিশেষ দল গঠন করে শীর্ষ আদালতেরই নজরদারিতে অশান্তির ঘটনার তদন্ত করা হোক। সুপ্রিম কোর্টে আর্জি মামলাকারী আইনজীবীর। ওয়াকফ আইনের (Waqf Bill) বিরোধিতায় উত্তাল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। ইতিমধ্যে ২০০-র বেশি জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাড়ছে এফআইআরের সংখ্যাও। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শনিবার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এবার সেখানে বিশেষ তদন্তকারী দলের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হল। মামলা দায়ের করে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে শীর্ষ আদালতেরও নজর দেওয়া উচিত।
গত শুক্রবার থেকে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে লাগামছাড়া সংঘর্ষ হয় মুর্শিদাবাদে। বাড়ি ঘর ভাঙচুর থেকে সরকারি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বহু মানুষ আতঙ্কে ঘরছাড়া হন। আতঙ্কের জেরে অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে মালদহ ও ঝাড়খণ্ডে গিয়ে আশ্রয় নিয়েচ্ছেন। অশান্তি ঘর বাড়ি জীবিকা সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। পরিবার নিয়ে কোথায় যাবেন? কী খাবেন তাদের জানা নেই। মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। তারা জেলার উপদ্রুত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। এবার মুর্শিদাবাদের অশান্তি নিয়ে জল গড়াল শীর্ষ আদালতে। আদালত সূত্রে খবর, আইনজীবী শশাঙ্কশেখর ঝা মামলাটি করেছেন শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীর আর্জি, মুর্শিদাবাদে অশান্তিতে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তার তদন্ত হওয়া জরুরি। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতেই একটি বিশেষ দল সেই তদন্ত করুক।
আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিরোধিতায় কলকাতাতে মিছিল, পুলিশের বাধা ধুন্ধুমার পরিস্থিতি
এ নিয়ে রাজ্য পুলিশের বক্তব্য, গত ৩৬ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদে কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। অশান্ত এলাকা শান্তই রয়েছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক। তবে স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ২০০ জনের বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। তিনি আরও বলেন, কেউ গুজবে কান দেবেন না। অপরাধীরা ছাড় পাবে না। পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘শান্তি ফেরাতে স্থানীয়দের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাহিনীর রুটমার্চ চলছে। এলাকায় যাচ্ছেন উচ্চপদস্থ আইপিএস অফিসারেরা।
অন্য খবর দেখুন