ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যে চিটফান্ড (Cheat fund) কেলেঙ্কারি মামলায় এবার প্রশ্নের মুখে হাইকোর্ট (Calcutta High court ) দ্বারা গঠিত দুই কমিটি। ওই দুই কমিটি হল তালুকদার কমিটি ও দিলীপ শেঠ কমিটি। অভিযোগ, গত প্রায় ১০ বছরে কত কোম্পানির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, তার কত বিক্রি করেছে, সেখান থেকে কোন কোম্পানির কত আমানতকারীকে কত টাকা ফেরত দিয়েছে তার কোনও বিস্তারিত তথ্য নেই তালুকদার কমিটির কাছে। এ নিয়ে কমিটির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
অন্যদিকে ডিভিশন বেঞ্চ চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ রোজভ্যালির আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে গঠিত বিচারপতি দিলীপ শেঠ কমিটির ভূমিকাতেও। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত ওই কমিটি হাইকোর্টের অর্ডার ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। কোনো সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবে না। কোনো শেয়ার হাতবদলও করতে পারবে না। এছাড়া এদিন কমিটিও মেনে নিয়েছে, তারা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে।
আরও পড়ুন : বিজ্ঞপ্তিতে কেন স্পষ্ট হয়নি কারা পরীক্ষায় বসবে, কারা বসতে পারবে না? SSC মামলায় প্রশ্ন হাইকোর্টের
রোজভ্যালির কমিটি নিয়ে বিচারপতি ভরদ্বাজের পর্যবেক্ষণ, কমিটি আগের দিন যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয় আদালত। যে রিপোর্ট কমিটি দিয়েছে তাতে অনেক রকম ফাঁক রয়েছে। আর স্পষ্ট করে বলা যায়, ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কমিটি আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর মূল লক্ষ্য থেকে দূরে সরে গিয়েছে।
বিচারপতি ভরদ্বাজের প্রশ্ন, এই ভাবে কমিটি নিজের বকলমে কাউকে দিয়ে ব্যবসা চালাতে পারে? সেই ক্ষমতা এডিসি কোথা থেকে পেল? একইসঙ্গে তিনি বলেন, ইডিকে (ED) জানাতে হবে কি করে এডিসি চকোলেট গ্রুপ নামে সংস্থাকে নিয়োগ করার ক্ষমতা দিল। ইডির একজন সদস্য ওই কমিটির মধ্যে রয়েছে। তার পরেও কি করে এমন বেনিয়ম অভিযোগ সামনে আসে? কেন ইডি বাধা দেয়নি, প্রশ্ন বিচারপতির
তিনি নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, আগামী শুনানিতে ওই কমিটিকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে কোর্টের অর্ডার ছাড়া কমিটি কি করে বাইরের লোককে দিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ জুলাই।
দেখুন আরও খবর :