কলকাতা: সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে (CBI Investigation) আবারও উষ্মা প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। ১০ বছর আগে পুলিসি হেফাজতে থাকাকালীন শেখ নাসিরুদ্দিনের মৃত্যুকাণ্ডের তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের উপর। বুধবার সেই মামলায় আদালতে (Calcutta High Court) নোটিস পেশ করে সিবিআই। নিয়ম অনুযায়ী চার্জশিটে কোনও পুলিস আধিকারিকের নাম থাকলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি নিতে হয়। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এদিন প্রশ্ন করেন, এক্ষেত্রে যে সমস্ত পুলিস অফিসারকে নোটিস দেওয়া হয়েছে তাঁদের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না। সেই সংক্রান্ত নথি ৬ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
২০১২ সালে ধনেখালি থানায় পুলিস হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ (Abnormal death in police custody) ওঠে শেখ নাসিরউদ্দিনের। ওই ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। আইনজীবী প্রতীম সিংহ রায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, রাজ্য পুলিশ নয়, এই ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই।
শুরু হয় সিবিআই তদন্ত। ৩০৪(এ) ধারায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। চার্জশিটে বলা হয়, পুলিশের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে নাসিরুদ্দিনের।
আরও পড়ুন: Narendra Modi-CAA: ধর্ম মহামেলায় সিএএ নিয়ে চুপ মোদি, ক্ষুব্ধ মতুয়াদের একাংশ
সিবিআই তদন্তে খুশি না হয়ে নাসিরউদ্দিনের স্ত্রী মানুজা বিবি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, সিসিটিভি ফুটেজে শেখ নাসিরউদ্দিনের গায়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। তা সত্ত্বেও সিবিআই শুধুমাত্র গাফিলতির অভিযোগ এনে তদন্তের কাজ শেষ করেছে।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মন্তব্য করেন, রাজ্যের মানুষ পুলিসি তদন্তে খুশি হতে না পেরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর ভরসা রাখতে চাইছে। অথচ সিবিআইয়ের এই ধরনের তদন্ত আদালতকে আশ্চর্য করেছে। সিবিআইয়ের তদন্তের হাল যদি এরকম হয়, তাহলে রাজ্যের সাধারণ মানুষ কার ওপরে ভরসা করবে?