কলকাতা: ইচ্ছের বিরুদ্ধে কোনও মেয়ের শরীরে হাত দেওয়া (Unwanted Touch) শুধু নীতিগত ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, আইনি পরিপ্রেক্ষিতেও গুরুতর অপরাধ, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হুগলির তারকেশ্বরের (Tarakeshwar Harassment) এক নাবালিকার করা মামলার শুনানি চলাকালীন একথা বলল আদালত। পাশাপাশি এই মামলায় পুলিশের শিথিল পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও হস্তক্ষেপ করল হাইকোর্ট।
কয়াকমাস আগে তারকেশ্বরের এক নাবালিকাকে স্কুল থেকে ফেরার পথে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে। পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি নাবালিকার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর শরীরে হাত দিয়েছে। এই ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে প্রথমে পুলিশ তা নিতে চায়নি। পরবর্তীতে পরিবারের চাপে পড়ে মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে নাবালিকার পরিবার।
আরও পড়ুন: অভিষেক-কন্যা সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য মামলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ তিন অভিযুক্ত
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেন এবং নির্দেশ দেন, এই মামলায় পকসো আইনের পাশাপাশি ধর্ষণের ধারাও যুক্ত করতে হবে। বিচারপতির মতে, ভিকটিম যে মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করেছে, তা ধর্ষণের সমতুল্য বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত।
এছাড়াও, বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানান, যদি মামলার পরবর্তী পর্যায়েও আবেদনকারীর মনে হয় যে পুলিশ যথাযথভাবে তদন্ত করছে না, তাহলে তাঁরা আবারও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন।
দেখুন আরও খবর: