কলকাতা: আনিস খানের বাবাকে হলফনামার মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই নির্দেশ দেন। এদিনই তাঁর এজলাসে হায়দরাবাদের ফরেনসিক তদন্তের রিপোর্ট জমা পড়েছে। আদালতের নির্দেশ, আনিসের বাবা সালেম খানের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে ওই রিপোর্টের একটি কপি দিতে হবে। বিকাশবাবু সেই রিপোর্টের গোপনীয়তা বজায় রাখবেন। সোমবার ফের মামলার শুনানি।
এদিন অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী সালেম খানের মন্তব্যের ব্যাপারে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রথম পর্বে। বিচারপতি জানান, শুনানির সময় তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। শুনানি শুরু হলে আইনজীবী অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সালেম খানের মন্তব্য খুবই অবমাননাকর। হাইকোর্টে সুনামের পক্ষে ক্ষতিকারক। আদালতে এসে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। সালেম খানের পরিবারের আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, আমি খুব দুঃখিত। উনি আবেগ থেকে ওইসব বলে ফেলেছিলেন। আপনার প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে পরিবারের।
সোমবার আনিস-কাণ্ডে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল আদালতে। কিন্তু বিচারপতি মান্থার এজলাসে আসেননি। ফলে রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাভভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সিটের মুখ বন্ধ করা রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে পারেননি। এ ব্যাপারেই বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া দেন মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাবা সালেম খান। তিনি বলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিচারপতি এজলাসে অনুপস্থিত ছিলেন, নাকি মুখ্যমন্ত্রীর চাপে তিনি আসেননি, সেটা পরিষ্কার নয়। সাতদিনের মধ্যেও যদি বিচারপতি এজলাসে না আসেন, তাহলে বুঝতে হবে তাঁর উপর চাপ আছে।
আরও পড়ুন: PM Modi Roadshow: মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমেদাবাদে মোদির রোড শো
বিচারপতি এই মামলা থেকে অব্যাহতি নিতে চান। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন বলেন, আনিসের বাবা প্রকৃত বিচারের আশায় রয়েছেন। আপনি মামলাটি গ্রহণ করুন। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বিচারপতিকে বলেন, দয়া করে আপনি অব্যাহতি নেবেন না। এরপরই বিচারপতি মান্থা বলেন, আইনজীবীরা আমাকে মামলা থেকে অব্যাহতি না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। সেই অনুরোধ আমি মেনে নিচ্ছি। তাঁর নির্দেশ, হলফনামার মাধ্যমে সালেম খানকে ক্ষমা চাইতে হবে।
রাজ্যের এজি জানান, হায়দরাবাদের কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ল্যাবরেটরির ৮২ পাতার রিপোর্ট এসে গিয়েছে। কলকাতার ফরেনসিক ল্যাবরেটরির রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। চার্জশিট জমা দেওয়ার অবস্থায় রয়েছে তদন্তপ্রক্রিয়া।