কলকাতা: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Anti Waqf Protests) কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েনের নির্দেশ দিল হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। ঘটনাস্থ পরিদর্শনে যাচ্ছেন রাজ্যের পুলিশের ডিজিপি। ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মুর্শিদাবাদের সুতি, সামশেরগঞ্জ সহ বেশ কিছু এলাকা। পুলিশের সঙ্গে ‘খণ্ডযুদ্ধে’র চিত্র ধরা পড়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে গেলে পুলিশ কঠোর এবং কঠিনতম পদক্ষেপ করব। গুন্ডামি বরদাস্ত করব না। আইন নিজের হাতে তুলে না নেন, সেই অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। এনিয়ে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় অশান্তির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে। ওই মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
ওয়াকফ আইন (সংশোধনী)-র বিরুদ্ধে কয়েক দিন ধরে মুর্শিদাবাদ-সহ বেশ কিছু জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘটেছে। মুর্শিদাবাদের কিছু এলাকায় অশান্তিও ছড়িয়েছিল। সে নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন শুভেন্দু। মুর্শিদাবাদ, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতার কিছু অংশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানান শুভেন্দু। এ নিয়ে রাজ্যের আইনজীবী আপত্তিও জানিয়েছেন। হাইকোর্টে রাজ্য জানায়, পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আদালতের প্রশ্ন বিএসএফ-এর থেকেও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলে আপত্তি কোথায়, তা জানতে চায় আদালত। অতীতে ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত মামলা এবং বেশ কিছু মামলায় যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাও মনে করাল আদালত। তেমন এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। আপনার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে না। কমানো হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক অধরা সমাধানসূত্র! কী হতে পারে চাকরিহারাদের ভবিষ্যৎ?
রাজ্যের আইনজীবী অর্ক নাগ জানান, এখনও পর্যন্ত ১৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এডিজি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক দায়িত্বে রয়েছেন। নতুন করে কোনও উত্তেজনা দেখা দেয়নি বলেও আদালতে জানান তিনি। বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, “রাজ্য় বেশ কিছু জায়গায় বিএসএফ চেয়েছে। তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক।” রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়। কিন্তু আদালত শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পক্ষেই রায় দেয়। আদালত বলে, “এধরনের অভিযোগ এলে আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না। মুর্শিদাবাদে শান্তি এবং সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনাই এই মুহূর্তে প্রধান লক্ষ্য।
অন্য খবর দেখুন