কলকাতা: শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Sovan Chatterjee) বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শোভনের বিরুদ্ধে মেয়র থাকাকালীন ত্রিপুরা ভবন নামের একটি হেরিটেজ বাড়ির একাংশ বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই শোভনের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
২০১৪ সালে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের ত্রিপুরা হাউসের জমিতে প্রোমোটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা।ত্রিপুরা হাউস এবং তার লাগোয়া মোট ৯৩.৫ কাঠা জমি পুরসভার খাতায় গ্রেড-১ হেরিটেজ সম্পত্তি হিসাবে নথিভুক্ত ছিল৷ সেখানে যে কোনও নির্মাণই আইনত নিষিদ্ধ৷ অভিযোগ, আইন যাতে প্রোমোটিংয়ের পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্য সম্পত্তিটিকে গ্রেড-১ হেরিটেজ তালিকা থেকে সরিয়ে গ্রেড-২ তালিকায় ঢোকানোর পরিকল্পনা করেছিল তৎকালীন পুরবোর্ড। এরজন্য হেরিটেজ তালিকা সংশোধনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুরসভা। ওই বছরেরই ১১ অগাস্ট পুরসভার মেয়র পরিষদের বৈঠকে সেই প্রস্তাবে সিলমোহরও পড়ে যায়।
পরবর্তীকালে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। এরই মধ্যে শোভনকে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জলঘোলা হতে শুরু করে। যে শোভন একসময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের লোক বলে পরিচিত ছিলেন, কালে কালে দু’জনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। বিরোধ এমন পর্যায়ে যায় যে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শোভনকে মেয়র এবং মন্ত্রিপদে ইস্তফা দিতে হয়। শোভন যোগ দেন বিজেপিতে। এখন অবশ্য শোভনের সঙ্গে বিজেপিরও কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন- Anubrata Mandal: আড়াই ঘণ্টা চিকিৎসার পর এসএসকেএম থেকে বেরিয়ে গেলেন অনুব্রত