কলকাতা: তিনদিনের বেসরকারি বাস ধর্মঘটের (West Bengal Bus Strike) ডাক মালিক পক্ষের। বাস মালিক সংগঠন এবং পরিবহণ দফতর ও পুলিশের বৈঠক হল না। তারপর ৭২ ঘণ্টার বাস ধর্মঘটে অনড় থাকল বাস মালিক সংগঠনগুলি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বাস মালিকদের দাবিগুলি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেনি পুলিশ ও পরিবহণ দফতরের কর্তারা। বাস মালিকদের (Private Buses Owners) সংগঠনের তরফে এই অচলাবস্থা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। ভাড়া বৃদ্ধি, পুরনো বাসগুলিকে অতিরিক্ত দু’বছর চলতে দেওয়া, পুলিশের জুলুম-সহ একগুচ্ছ দাবিতে ২২-২৪ মে পর্যন্ত বাস ধর্মঘটের ডাক দেয় বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনগুলি।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট (Joint Council Of Bus Syndicates), বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি, ইন্টার অ্যান্ড ইন্টার রিজিয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন এই পাঁচটি সংগঠনের তরফে বাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। একদিন-দুদিন নয়, টানা তিনদিন বাস ধর্মঘট। চলতি সপ্তাহের শেষে বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং শনিবার রাজ্যজুড়ে চলবে বাস ধর্মঘট। এর জেরে চরম ভোগান্তির আশঙ্কায় পড়তে হতে পারে যাত্রীদের। শনি-রবি সরকারি অফিস ছুটি থাকলেও শুক্রবার পুরোদমে কাজ চলবে। এমনকী শনিবারও অনেক বেসরকারি অফিস খোলা থাকে। ফলে যাত্রী ভোগান্তির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নিত্যযাত্রীদেরও সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে। ভোগান্তির মুখে পড়বেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে অফিসযাত্রী, পরীক্ষার্থী এবং স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীরা। সরকারি বাস ও অন্যান্য পরিবহণের উপর চাপ বাড়বে।
আরও পড়ুন:সাঁতরাগাছি রেল ইয়ার্ডে সিগন্যাল সমস্যা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বেসরকারি বাস মালিকদের দাবি,নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু ২০১৮ সালের পর আর বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। এই আবহে ভাড়া না বাড়ালে বাস চালানো সম্ভব নয়। কোভিডের সময় প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার বাস বসে গেছে।এদিকে ১৫ বছরের পুরনো বাসগুলিকে আরও দু’বছর চলাচলের অনুমতি চাওয়া হয়। যেখানে সেখানে বিনা কারণে পুলিশি জুলুমবাজি বন্ধের দাবি জানানো হয়। এই দাবি গুলি নিয়ে আলোচনা করার জন্য সোমবার বৈঠক ডাকে পরিবহণ দফতর। সেই বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর মঙ্গলবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকও ভেস্তে যাওয়ায় আপাতত তিনদিনের বাস ধর্মঘট হতে চলেছে।
দেখুন ভিডিও