কলকাতা: শহরের উদ্ধার জোড়া দেহ। উল্টোডাঙা থানা (Ultadanga Police Station) এলাকার একটি বহুতল থেকে মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ (Hanging Bodies Mother and Son) উদ্ধার হয়েছে। দুটি আলাদা ঘর থেকে উদ্ধার দেহ। সূত্রের খবর, পৈতৃক লেদ কারখানা ছিল। নেপালচন্দ্র মালের মৃত্যুর পর আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেই ফ্যাক্টরি লিজ দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। খুন না আর্থিক সঙ্কটে আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উল্টোডাঙা থানা এলাকার এপিসি রোডে। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম মহুয়া মাল (৫৬) ও সোমনাথ মাল (২৬)। উল্টোডাঙার এপিসি রোডে তিনতলা বাড়ি তাঁদের। ১৩ বছর আগে মারা যান মহুয়াদেবীর স্বামী নেপালচন্দ্র মাল। বাড়ির নিচে ছিল লেদের কারখানা। স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর লেদ কারখানা একজনকে লিজে দিয়েছিলেন মহুয়া। ওই কারখানায় তাঁর ছেলেও কাজ করতেন। সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ কারখানার একটি ছেলে সোমনাথকে ডাকতে যায় তিনতলায়। অনেক ডাকাডাকির পরও কেউ দরজা খুলছিল না। এর পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মা ও ছেলের দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রের খবর,একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে ঘর থেকে। ছেলের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে ১টা বেজে ২০ মিনিট থেকে ১টা বেজে ৩০ মিনিট লেখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই কারখানা চালাতে পারছিলেন না বলেও জানা গিয়েছে। একজনকে লিজে দিয়েছিলেন মহুয়া।বিপুল পরিমাণ দেন হয়। সেই ধার শোধ করতে পারছিল না বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দেনার দায়ে মা ও ছেলে আত্মঘাতী হয়েছেন।
আরও অন্য খবর দেখুন