কলকাতা: কলকাতা পুলিসের বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল টানা ৪ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করল কাশীপুরের মৃত বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার দাদাকে। বুধবার চিতপুর থানায় যেতে বলা হয়েছিল অর্জুনের দাদা আনন্দকে। জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিস তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যায়। পরে এক মহিলা পুলিস অফিসার অর্জুনের বাড়িতে আসেন। তিনি অর্জুনের মা-সহ বাড়ির অন্য মহিলা সদস্যদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন বলে পুলিস সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার পুলিসের ওই অনুসন্ধানকারী দল (SET) অর্জুনের বাড়িতে নোটিস পাঠিয়ে দেয়। সেই নোটিসেই অর্জুনের দাদাকে চিতপুর থানা বা লালবাজারে যেতে বলা হয়েছিল। নোটিস গ্রহণ করে অর্জুনের দাদা আনন্দ পুলিসকে জানান, তাঁরা বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভালো হয়। এই মুহূর্তে তাঁরা বাইরে বেরোনোর মত মানসিক অবস্থায় নেই। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অর্জুনের পরিবার চিতপুর থানায় যেতে রাজি হয়।
এর আগে অর্জুনের পরিবার দুবার কলকাতা পুলিসের ওই অনুসন্ধানকারী দলের নোটিস ফিরিয়ে দিয়েছিল। তাঁদের বক্তব্য ছিল, অর্জুনের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা না পড়া পর্যন্ত পুলিসের সঙ্গে কেউ কথা বলবেন না। আদালত কী বলে. তার অপেক্ষায় ছিল পরিবার। মঙ্গলবার কমান্ড হসপিটাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করে। তাতে বলা হয়, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যাই করেছে অর্জুন। এরপরই চৌরাসিয়া পরিবার সুর নরম করে।
আরও পড়ুন: Cycle Expedition: দেশপ্রেম বুকে নিয়ে সাইকেলে ২১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি ১০ বছরের ছাত্র আরভের
এদিকে পুলিস সূত্রের খবর, আলিপুরের কমান্ড হাসপাতাল অর্জুনের ভিসেরা রিপোর্ট এদিন পুলিসকে দিতে রাজি হয়নি। হাসপাতাল জানায়, হাইকোর্টের রায় এখনও ওয়েবসাইটে আপলোড না হওয়ায় তারা ভিসেরা রিপোর্ট পুলিসকে হস্তান্তর করতে পারবে না। এদিন হাইকোর্টে সরকারি আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ময়নাতদন্তের পর অর্জুনের পরনের পোশাক এবং অন্যান্য জিনিস হাসপাতাল পুলিসকে দিচ্ছে না। ফলে সেগুলি ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো যাচ্ছে না। তিনি এ ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একইসঙ্গে দ্রুত শুনানির আবেদন জানানো হয়। বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।