কলকাতা: সকাল থেকেই শুনশান গোটা চত্বর। খাঁ খাঁ করছে এলাকা। বড়-মেজ তো দূর, সেজ-ছোট নেতাদেরও দেখা মেলেনি! ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেন হোক কিংবা হেস্টিংসের বিজেপি কার্যালয়, চিত্রটা একই। ভোটের ফল কী হতে চলেছে, তা যেন আগেই আঁচ পেয়ে গিয়েছিল গেরুয়া শিবির।
পোস্টাল ব্যালট থেকেই লিড নেন মমতা। তার পর বেলা যত বেড়েছে, মমতার লিডও ততই বেড়েছে। সকাল থেকেই কালীঘাটে ভিড় জমিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। কারোর হাতে ‘খেলা হবে’ লেখা পোস্টার, আবার কেউ গালে সবুজ আবির মেখে উৎসবে মেতেছেন।
আরও পড়ুন: বিপুল ভোটে এগিয়ে মমতা, কালীঘাটে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুকে যেখানে উৎসবের আমেজ, সেখানে বিজেপির দুটি কার্যালয়ই কার্যত খাঁ খাঁ করছে। বিজেপির প্রথম সারির কোনও নেতার দেখা মেলেনি। দলের মিডিয়া সেলের সদস্য হাতে গোনা কয়েকজন সদস্য এসেছিলেন। নিরাপত্তার কারণে পার্টি অফিস গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দিয়েছিল পুলিশ।
ভবানীপুরে ৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন মমতা। জয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত বলেছেন, বিজেপিকে যাঁরা ভোট দিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ। এই সমর্থন পাথেয় করে চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভাল ফল করবে বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের দাবি, ভোটে হেরে গেলেও তিনিই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ।
আরও পড়ুন: ভিকট্রি সাইন নয়, ১,২,৩ মানুষকে ধন্যবাদ দিন : মমতা
এ বারের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮৫ হাজার ২৬৩টি ভোট পেয়েছেন। ৭১.৮৮ শতাংশ ভোট গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ২২.২৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২৬ হাজার ৪২৮। সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাস ৪২২৬টি ভোট পেয়েছেন। শতাংশের বিচারে যা ৩.৫৬।