কলকাতা: শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আগেই সাসপেন্ড হয়েছিলেন। তারপর বিধাননগর পুরভোটের দিন তৃণমূল প্রার্থীকে জড়িয়ে ধরে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। আর এবার তৃণমূলের পতাকা ধরতে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে পদ্মাসন ছেড়ে ঘাসফুলে বসলেন। তৃণমূলে যোগ দিয়েই রাজ্য সহসভাপতি হলেন জয়প্রকাশ।
জয়প্রকাশ মজুমদার। একসময়ের কংগ্রেস নেতা। সেখান থেকে বিজেপিতে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিকবার মুখ খুলেছেন। ভোট হলেই তাঁকে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে। এহেন জয়প্রকাশ গত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেন। তারপরেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।
মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক বৈঠকে তৃণমূলে যোগ দিতে দিলেন জয়প্রকাশ। একাধিকবার বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তৃণমূলের সমর্থন শোনা গিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর মুখ থেকে। যদিও জয়প্রকাশের তৃণমূল পন্থী হওয়াকে গুরুত্ব দিতে চান না সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, দল জয়প্রকাশকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তিনি স্বাধীনচেতা মানুষ। তিনি কী করবেন তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।
আরও পড়ুন- BJP Bengal: কত রসাতলে পৌঁছবে বঙ্গ বিজেপি? প্রশ্ন তথাগত রায়ের
অন্যদিকে জয়প্রকাশের সঙ্গে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে সাসপেন্ড হয়েছিলেন অপর বিজেপি নেতা রীতেশ তিওয়ারি। যদিও রিতেশের দাবি, জল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই। তৃণমূলের মঞ্চে যাওয়ার পর জয়প্রকাশকে বহিষ্কার করে বঙ্গ বিজেপি।