কলকাতা: আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) চিঠি দিল উচ্চশিক্ষা দফতর। চিঠির প্রতিপাদ্য বিষয়, ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পাঠানো আচার্যের চিঠি আসলে অযৌক্তিক ও অকল্পনীয় যা উচ্চশিক্ষা দফতরের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। গত ৫ জানুয়ারি আচার্যের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছিল, উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে তাদের কাছে মামলা সংক্রান্ত ব্যয়ের যে হিসাব চাওয়া হয়েছে তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই, এমনকী চিঠিতে দফতরের এহেন নির্দেশের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
আরও পড়ুন: ১৪ ঘন্টা পর সুজিত বসুর বাড়ি ছাড়লেন ইডি অফিসাররা
আজ রাজভবনের (Raj Bhavan) উদ্দেশে পাঠানো চিঠিতে উচ্চশিক্ষা দফতর স্পষ্ট জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় একাধিক বিষয় দফতরের আওতাধীন। শুধু তাই নয়, মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে যে খরচ বা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় করছে তার জবাব দফতর চাইতে পারে। উপাচার্য সংক্রান্ত মামলায় শীর্ষ আদালতের দেওয়া নির্দেশকে তুলে ধরে দফতর জানিয়েছে, নতুন করে আচার্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার এই মুহূর্তে নেই। শুধু তাই নয়, চিঠিতে রাজ্যপালের পদটি সাংবিধানিক হলেও একজন আচার্যের পদ ‘স্ট্যাচুয়েটরি’ বা বিধিবদ্ধ পদ ও তিনিও নিয়মের বাইরে নন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়েও ফের বলা হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) বিধিতে উল্লেখ রয়েছে, তারা আচার্যের অনুমতি ছাড়া প্রয়োজনে সমাবর্তন সঞ্চালনা করতে পারে। রাজভবনের তরফে জবাব এলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে বলে উক্ত চিঠিতে উল্লেখ করেছে উচ্চশিক্ষা দফতর। এবার রাজ্যপাল তথা আচার্য চিঠির কী জবাব দেন সেটাই দেখার।