কলকাতা: ভোটে জিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সস্ত্রীক সব্যসাচী দত্ত। সব্যসাচীর কথায়, একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সেটা শুধরে নিয়েছি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আমাকে গ্রহণ করেছেন, আমাকে সুযোগ দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ মাথার উপর ছিল বলেই এই জয় সম্ভব হয়েছে। মানুষ আমাকে দেখে ভোট দেয়নি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন, প্রশাসন চালানোর দক্ষতা ওপর আস্থা রেখেই সমর্থন করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া এই জয় লাভ আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না।
মাস কয়েক আগেই বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন। তবে এবার ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি ভোটে জিতলেন সব্যসাচী দত্ত। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতেও যান তিনি। ফিরহাদ বলেন, যে কোনও নির্বাচনে দলের প্রার্থীরা জয়লাভ করলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রণাম করতে আসেন। কারণ আমরা সবাই মনে করি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িটা আমাদের কাছে একটা মন্দির। সব্যসাচী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আশীর্বাদ নিতে এসেছিলেন। ফেরার পথে আমার সঙ্গে দেখা করে গেলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর মানুষের আস্থা অটুট।
ফিরহাদ বলেন, মমতার জনকল্যাণমুখী কাজ, উন্নয়ন করার মানসিকতাকেই বাংলার মানুষ সমর্থন করেছে। বিরোধীরা যতই অপপ্রচার করুক, বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আদালতে যান, তাতে কারও কিছু এসে যায় না। রাজ্যের মানুষ বিরোধীদের কথায় আর আমল দেয় না, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর নেতৃত্বাধীন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির দুর্দশার কথা সারা দেশের মানুষ জানে। তাই বিকল্প শক্তি হিসাবে মানুষ এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: চারে চার, ভালবাসার দিনে মমতাকেই ভালবাসল বাংলা
সব্যসাচী জয়ী হলেও, বিধাননগরের মেয়র কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে জোড়াফুল শিবিরে। মমতার সঙ্গে দেখা করে অভিষেকের বাড়িতেও যান সব্যসাচী। মেয়র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভালো করে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন দিদি। স্ত্রীকে একটা শাড়ি উপহার দিয়েছেন। মেয়র নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরে কাউন্সিলরদের নিয়ে বসে মেয়র ঠিক হবে। বিধাননগরের বিদায়ী মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করছেন। দলকে ভালোবাসেন। মমতাকে শ্রদ্ধা করেন। তাই তাঁর সিদ্ধান্তই শিরোধার্য করবেন।
