কলকাতা: গত কয়েকদিনের ঝড়বৃষ্টিতে আপাতত দহন দাপট থেকে মুক্ত বাংলা। মঙ্গলবার ইদের দিনেও সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আজ দিনভর রাজ্যজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। ঝড়বৃষ্টির জেরে মাঝ বৈশাখেও বুধবার পর্যন্ত তাপমাত্রা একটু কমের দিকেই থাকবে। বৃহস্পতিবার থেকে আবার বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
আজ কলকাতায় মূলত আংশিক মেঘলা আকাশ। থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দিনভর। রয়েছে কালবৈশাখীর পূর্বাভাসও। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯২ শতাংশ।
এপ্রিলের একেবারে শেষভাগ থেকেই বদলাতে শুরু করেছে আবহাওয়া। গুমোট গরম থেকে খানিকটা হলেও রেহাই মিলেছিল। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, এদিনও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলবে বৃষ্টি। ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। রাজ্যজুড়ে কালবৈশাখীর সর্তকতা জারি। তবে আগামিকাল থেকে ঝড়বৃষ্টি কমবে উত্তরবঙ্গে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আন্দামান সাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত। আগামীকাল বুধবার ঘূর্ণাবর্ত তৈরির অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে অথবা শুক্রবারের মধ্যে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। নিম্নচাপ শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আন্দামান সাগরের পর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং মধ্য বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরে আসতে পারে সেই ঘূর্ণিঝড়। আপাতত তার অভিমুখ বাংলা বা ওডিশা উপকূলের দিকে।
আরও পড়ুন: Bagtui Namaz: দুঃখ-বেদনা সঙ্গে নিয়েই ইদের নমাজে বগটুইবাসী
ইদের সকাল থেকেই কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে ঝড়বৃষ্টি। কোনও কোনও জেলায় ভোরের নমাজ পড়তে মসদিজেই যেতে পারেননি মুসলিম ভাইয়েরা। অগত্যা বাড়িতে থেকেই নমাজ পড়েন অনেকে। তবে টানা বৃষ্টির জেরে ইদের আনন্দ ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তর-পূর্ব ভারত এবং সিকিমে। আগামিকাল অরুণাচল প্রদেশে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আসাম ও মেঘালয়ে। মঙ্গল ও বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে নাগাল্যান্ড মণিপুর মিজোরাম এবং ত্রিপুরা রাজ্যে।