কলকাতা: বাড়ির সামনে পড়ে রয়েছে ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ। মঙ্গলবার সকালে মুকেশ নামে এক ব্যক্তির রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীতে (Bansdroni)।
স্ত্রী দুই ছেলেকে নিয়ে বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার সোনালী পার্কের ওই বাড়িতেই থাকতেন মুকেশ নামের ৪৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। এদিন সকাল সাতটা নাগাদ বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার ওই বাড়ির গেটের সামনেই রক্তাক্ত অবস্থায় উল্টে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। স্থানীয় সূত্রে খবর নভেম্বর মাসেই তার স্ত্রী দুই ছেলেকে নিয়ে বিহারে গিয়েছিলেন। তাই আপাতত বাড়িতে একাই ছিলেন মুকেশ।
সোমবার রাত দশটা নাগাদ একটি বিয়ে বাড়ি থেকে বাড়িতে ফিরেছিলেন মুকেশ। মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ নিজের বাড়ির গেটের সামনে মুকেশকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। প্রথম মুকেশের দেহ পড়ে থাকতে দেখে তার ভাই সঞ্জয় সাউ। তিনিই বাঁশদ্রোণী থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- কলকাতা টিভি ওয়েবে-র খবরের জের: বাঙালি মহিলাকে উদ্ধারে রাতের বিমানে শ্রীনগর গেল পুলিশ
মুকেশের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটার গভীর ক্ষত পাওয়া গেছে। এছাড়াও তাঁর কাঁধে এবং ডান হাতে ক্ষতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। ওই ব্যক্তির ডান হাতেও চপাড় দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন মিলেছে। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা।
দেহে আঘাতের চিহ্ন দেখে মুকেশকে খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের। মুকেশের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ স্পষ্ট হবে। একইসঙ্গে মুকেশের বাড়ির সামনের রাস্তার একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।