নরেন্দ্রপুর: সালোয়ার কামিজ নয়, শাড়ি পরেই শিক্ষিকাদের আসতে হবে স্কুলে৷ নচেৎ স্কুলে প্রবেশ করা যাবে না৷ নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত বনহুগলির বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দির স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন ফতোয়ায় প্রথমে বিস্মিত ও পরে মানতে অস্বীকার করেছেন শিক্ষিরাদের একাংশ৷ ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তাঁরা জেলার ডিআই এবং এসআইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন৷ ফতোয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষিকারা বলেছেন, এই হিটলারি নির্দেশ তাঁদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়৷ তাঁদের মতে, অভিভাবকদের চাপে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ এদিকে শিক্ষিকাদের কাছ থেকে সব শুনে আগামিকাল সোমবার স্কুল পরিদর্শনে যাচ্ছেন এসআই৷
আরও পড়ুন: শনি,রবি ছুটি, সোম থেকে শুক্র খুলবে ক্লাস রুম, জানাল শিক্ষা দফতর
গত ১৭ নভেম্বর স্কুল পরিচালন সমিতি একটি বৈঠক ডেকেছিল৷ সেখানে ওই ফতোয়া জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ পরিচালন সমিতির মনে করে, শিক্ষিকাদের স্কুলে সালোয়ার পরে আসা উচিৎ নয়৷ সালোয়ার-কামিজ কখনই শাড়ির বিকল্প হতে পারে না৷ তাছাড়া এই স্কুলের চিরাচরিত রীতি রয়েছে শিক্ষিকাদের শাড়ি পরে স্কুলে আসার৷ সেখানে শিক্ষিকারা সালোয়ার কামিজ পরে স্কুলে এলে একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মানকে কলুষিত করা হবে৷ যা হতে দিতে নারাজ বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দির স্কুলের পরিচালন সমিতি৷
আরও পড়ুন: বিমান অবতরণে জটিলতা, সোমবারই ত্রিপুরায় অভিষেক
ওই বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের কথা পরে হোয়াটসঅ্যাপ করে শিক্ষিকাদের জানিয়ে দেওয়া হয়৷ সেই নির্দেশ দেখার পরই অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষিকা মহলে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের এক শিক্ষিকা জানিয়েছেন, কেউ কেউ এই ফতোয়াকে ‘হিটলারি নির্দেশ’ বলে তোপ দাগেন৷ তাঁদের মতে, স্থানীয় মানুষ ও পড়ুয়াদের অভিভাবকদের চাপে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে স্কুল৷ ২১ শতকে এসে এই ধরনের ফতোয়া জারির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা৷