কলকাতা: পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় রাজ্যবাসী। বিশেষ করে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) ভূমিকা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। আরজি কর কাণ্ড থেকে প্রতিবাদী চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর লাঠিচার্জের ঘটনা, সমালোচিত হয়েছে তাঁরা। এর মধ্যেই হাওড়া ব্রিজে গাড়ি দাঁড় করিয়ে পুলিশের টাকা নেওয়ার ভিডিও প্রকাশ্যে। তোলা তুলতে গিয়ে (Extortion) এখন ভাইরাল দুই পুলিশ অফিসার (Police Officers)। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি অনলাইন। এই ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার পরই সাসপেন্ড (Suspend) করা হয়েছে তাঁদের।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সাদা উর্দিধারী এক পুলিশ আধিকারিক হাতে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটির দিকে আসছেন। হাওড়া ব্রিজের উপর দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়ি। সামনেই দাঁড়িয়ে সাদা উর্দি পরা এক পুলিশ আধিকারিক। আঙুল উঁচিয়ে চালককে কিছু বলছেন। এই সময়ে এক জনকে বলতে শোনা যায়, ‘‘খুচরো নেই বলেই তো দিচ্ছি নাকি?’’ কিছু ক্ষণেই প্রথম জনের ডাকে গাড়িটির সামনে চলে আসেন আরও এক উর্দিধারী। যিনি কথা বলছিলেন, তিনি দ্বিতীয় পুলিশকে দেখে বলে ওঠেন, ‘‘আমি পালাচ্ছি না স্যর। ১০ টাকা কম আছে। উনি ওরকম করছেন। আমার কাছে নেই তো কী করব!’’ দুই উর্দিধারী নিজেদের মধ্যে কথা বলেন। চালকের হাতে কিছু টাকা ছিল। কথা বলতে বলতেই সেই টাকা নিয়ে নেন উর্দিধারী। এর পর গাড়িটি চলতে শুরু করে। কাউকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এমন করছে যেন রাস্তাই কিনে রেখে দিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: সরানো হল ব্যারাকপুরের সিপিকে, নতুন সিপি হলেন মুরলীধর শর্মা
অভিযোগ, হাওড়া ব্রিজে (Howrah Bridge) চলন্ত গাড়ি থামিয়ে চালকের থেকে ‘তোলা’ নিচ্ছিলেন দুই পুলিশ অফিসার। রবিবার গভীর রাতের সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে লালবাজার। তদন্তে নেমে চিহ্নিত করা হয় অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মীকে। সূত্রের খবর, তাঁরা উত্তর বন্দর ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত ছিলেন। নর্থপোর্ট থানার ডিসি জানিয়েছেন, সোমবার সকালে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।
দেখুন ভিডিও