কলকাতা : ১০ মাসের মধ্যে পর্নোগ্রাফি চক্রের মূল পান্ডাকে গ্রেফতার করল সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। কলকাতা থেকে গ্রেফতার পর্ণোগ্রাফি চক্রের মডেল সাপ্লায়ার প্রকাশ দাস।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে পেশায় মডেল, এক যুবতী বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানায় যে এক ব্যক্তির সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়। তিনি ওই মডেলকে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।বলেন রানিকুঠি এলাকায় তার প্রোডাকশন হাউস রয়েছে ।সেই অনুযায়ী সেই মডেল সেই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি তাকে প্রথম দিকে দুটি ছোট কাজ দেয়। এর পর তাকে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় করায়। এবং পরবর্তীতে তাকে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে মাদক পান করিয়ে জোর করে পর্নোগ্রাফি শুট করায় বলে অভিযোগ। এবং বারংবার ওই চক্র তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পর্নোগ্রাফি করতে বাধ্য করেছিল বলে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় জানায় ওই যুবতী। ঘটনার তদন্ত শুরু হয় ।
আরও পড়ুন হার মেনেছে প্রতিবন্ধকতা, বাবার কোলে একরত্তি, মুখে অনাবিল হাসি
গত মার্চ মাসে ৫ জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তবে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত পুলিশের জাল থেকে পালিয়ে যায়। অবশেষে ১০ মাস পর গতকাল রিজেন্ট পার্ক এলাকা থেকে অভিযুক্ত প্রকাশ দাসকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন লাগামছাড়া জ্বালানি, ঘোড়ার গাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার চাপিয়ে প্রতিবাদ তৃণমূলের
পুলিশ সূত্রে খবর অভিযুক্ত প্রকাশ সোশ্যাল মিডিয়া মারফত বিভিন্ন উঠতি মডেলদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতো। তারপর তাদের টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কনফিডেন্স আদায় করতো। পরবর্তীতে সেই মডেলদের এই পর্নোগ্রাফি চক্রের হাতে তুলে দিয়ে অর্থ উপার্জন করতো। এই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ওই যুবতী বাদেও আরও ৫ জন যুবতী একই অভিযোগ করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। সেখান থেকে অনেক উঠতি মডেলের সঙ্গে কথোপকথনের প্রমাণ উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই মডেল সাপ্লায়ারের সঙ্গে আর কাদের যোগাযোগ রয়েছে বা এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।