কলকাতা : গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনের জট খুলল। তদন্তে নেমে বুধবার রাতেই ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছে গিয়েছিলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। অভিযুক্ত মিঠু হালদার যে বাড়িতে ভাড়া থাকত, রাতে সেখানে তল্লাশি চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। তুলে নিয়ে যান ব্যবহৃত নানান জিনিসের ছবি। এদিকে সুবীর চাকির হাতে থাকা হীরের আংটির খোঁজ চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। মৃত দেহ থেকে পাওয়া যায়নি হীরের আংটি। পরিচারিকা মিঠু হালদারের বাড়িতেই থাকতে পারে ওই আংটি, অনুমান তদন্তকারী আধিকারিকদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে মৃত সুবীর চাকি তাঁর গড়িয়াহাটের বাড়িটি বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিলেন। রবিবারও সেই বিষয়ে কথা বলতে সেই বাড়িতে যান সুবীরবাবু। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, বাড়ি বিক্রি নিয়ে একজনের সঙ্গে দেখা করতেই রবিবার গড়িয়াহাটের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। তারপরই বাড়ির তিনতলা থেকে উদ্ধার সহ সুবীরবাবু ও তাঁর ড্রাইভারের দেহ।
আরও পড়ুন : গ্যাস লিক করে রেস্তোরাঁয় আগুন, মৃত ৩ আহত ৩৩
জানা যায়, ওই বাড়িটি অনেকেই কিনতে চেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ছিল ধৃত মিঠু হালদারের ছেলে ভিকি। ভিকি মূলত দালালির কাজের সঙ্গে যুক্ত। জানা গিয়েছে, ভিকি বাড়িটি কিনতে চাইলে সুবীরবাবু বাড়ির জন্য দেড় কোটি টাকা দাম চান। সেই সময় টাকা ছিল না ভিকির কাছে। ঘটনার পর বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও ভিকি জানতে পারে কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িটি বিক্রি হয়নি। আর তারপরই অভিসন্ধি করে খুন। খুনের সময়ই সুবীর চাকীর হাত থেকে খুলে নেওয়া হয়েছে হীরের আংটি, অনুমান পুলিশের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবীরবাবুকে ভয় দেখিয়েই টাকা আত্মসাৎ করতে চেয়েছিল ভিকি। কিন্তু তাকে চিনে ফেলায় খুন করে ভিকি। ভিকির সঙ্গে তার দুই বন্ধুও পলাতক। পলাতক ভিকি ঘন ঘন মোবাইলের সিম বদলাচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।