কলকাতা: গরু পাচার কাণ্ডে শুক্রবার আসানসোলে সিবিআই (CBI) আদালতে পেশ করা হল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain)। এদিন সকালেই নিজাম প্যালেস থেকে সায়গলকে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোলের উদ্দেশে। এরপর তাঁকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়।
বৃহস্পতিবার সায়গল হোসেনকে সিবিআই তলব করে। দুপুরে নিজাম প্যালেসে ডেকে ম্যারাথন জেরা করা হয় তাঁকে। জেরার সময় অনুব্রতর দেহরক্ষীর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১৩ সাল থেকেই সায়গল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতর দেহরক্ষী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর বাবাও কাজ করতেন রাজ্য পুলিসে। বাবার মৃত্যুর পর তিনি পুলিসের কনস্টেবল হিসেবে চাকরি পান। প্রথমে সাধারণ দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করলেও পরবর্তীকালে তিনিই হয়ে ওঠেন অনুব্রতর প্রধান রক্ষী।
আরও পড়ুন- Rail Blockade: গেদে-শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন অবরোধ, আটকে একাধিক লোকাল-এক্সপ্রেস
সিবিআই সূত্রের খবর সায়গলের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডোমকোলে। মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে তাঁর একাধিক জমি, ফ্ল্যাট রয়েছে। তিনি একাধিক গাড়িরও মালিক। সিবিআইয়ের দাবি পাচারের যাবতীয় কাজকর্ম মূলত সায়গলের মাধ্যমে হত। তাঁর হাত দিয়েই বিপুল আর্থিক লেনদেনও চলত। গরুপাচারের তদন্তে নেমে সিবিআই বহুবার সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সিবিআই অফিসাররা তাঁর ডোমকলের বাড়িতেও অনেকবার তল্লাশি চালিয়েছেন। পরিবারের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।