কলকাতা: এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে ছাড়া পেতেই শনিবার সিবিআইয়ের জোড়া নোটিস পেয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমটি গরু পাচার দ্বিতীয়টি ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা৷ এই দুই মামলায় অনুব্রতকে জেরা করতে চাইছে সিবিআই। কিন্তু পরপর ছয় বার হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত। তবে, এইবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সিবিআইকে চিঠি পাঠিয়েছেন অনুব্রত। সেই চিঠিতে জানিয়েছেন, কেন তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না।
কী লিখেছেন চিঠিতে অনুব্রত?
সুত্রের খবর, সিবিআইয়ের দুই ডিএসপি সুশান্ত ভট্টাচার্য এবং প্রশান্ত শ্রীবাস্তবকে চিঠি লিখে অনুব্রত জানিয়েছেন, দাঁত, মলদ্বার এবং অণ্ডকোষের ব্যথায় তিনি কাতর। সংক্রমণের কারণে অণ্ডকোষের ব্যথা অসহ্য হয়ে উঠেছে। চিকিৎসকরা তাঁকে চার সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। তাই হাজিরা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। একইসঙ্গে এই চিঠিতে অনুব্রতর অনুরোধ, সিবিআই কর্তারা বাড়িতে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।
গত ৬ এপ্রিল চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে গাড়িতে উঠেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গন্তব্য ছিল সিবিআই দফতর। কিন্তু পথে আচমকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। বাধ্য হয়ে পঞ্চমবারের জন্য সিবিআই হাজিরা এড়িয়ে পৌঁছন এসএসকেএমের ২১১ নম্বর ওয়ার্ডে।
এরপর শনিবার টানা ১৬ দিন পর এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে ছাড়া পেতেই তাঁকে তলব করা হয়। ষষ্ঠ বারও হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। এরপরেই সিবিআইকে চিঠি লেখেন অনুব্রত। অসুস্থতার কারণে সিবিআইয়ের কাছে সময় চেয়ে নেন। যদিও হাজিরা এড়িয়ে অনুব্রত এসএসকেএমে ভর্তি হতেই তৎপর হয়ে উঠেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার তরফ থেকে এসএসকেএমে নোটিস পাঠিয়ে বলা হয়েছিল অনুব্রতর সমস্ত হেলথ রিপোর্ট সিবিআইকে জানাতে। সোমবার সেসব রিপোর্ট AIIMS-এ পাঠায় সিবিআই। AIIMS সব রিপোর্ট দেখে সিবিআইকে জানাবে কেমন আছেন অনুব্রত। তাকে জেরা করা যাবে কি না। আর জেরা করা গেলেও বা কতদিন পর।