কলকাতা: সিএএ নিয়ে বিরোধীরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে ফের সরব হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহ বলেন, সংশোধিত আইনে (CAA) কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনও সংস্থান নেই। এই আইনে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) উদ্দেশ্য করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হাতজোড় করে বলছি, এটা নিয়ে রাজনীতি করবেন না। তাঁর অভিযোগ, মমতা শরণার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না।
মমতার অভিযোগ, ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করে হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চাইছে। তিনি বলেন, এটা এনআরসির প্রথম ধাপ। আবেদন করলেই নাগরিকত্ব চলে যাবে। আপনার স্থান হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে। পাল্টা শাহ বলেন, মমতাই হিন্দু-মুসলমান বিভাজনে মদত দিচ্ছেন। বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় এসে অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে। মমতাকে আক্রমণ শানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি আপনি জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে রাজনীতি করেন, তবে মানুষ আপনার সঙ্গে থাকবে না।
আরও পড়ুন:কোন দল কত বন্ড কবে কিনেছে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় জানাল এসবিআই
গত সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিএএ-র রুল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কার্যত সেদিন থেকেই সারা দেশে সিএএ চালু হয়ে গিয়েছে সরকারিভাবে। ওই বিজ্ঞপ্তি জারির আগেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মমতা বলেন, আজ রাতেই সিএএ চালু করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারকে বলছি, রাতের অন্ধকারে এসব করবেন না। তাঁর হুঁশিয়ারি, বাংলায় সিএএ করতে দেব না। পরের দিনই হাবরায় এক সভায় তিনি বলেন, এটা বাংলাকে ভাগ করার খেলা, ষড়যন্ত্র। এতদিন ধরে যাঁরা ভোট দিচ্ছেন, তাঁরা সকলেই নাগরিক। আবার নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রশ্ন আসছে কী করে। তাঁর নির্দেশে জেলায় জেলায় তৃণমূল সিএএ-র বিরুদ্ধে পথেও নেমেছে। সিপিএম এবং কংগ্রেসের অভিযোগ, সিএএকে সামনে রেখে বিজেপি এবং তৃণমূল ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করছে। সন্দেশখালির ঘটনা, সীমাহীন দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই তৃণমূল সিএএ নিয়ে পড়েছে।
অমিত শাহ বলেন, সিএএ প্রত্যাহার করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। করোনা অতিমারির জন্যই ২০২০ সালে সিএএ চালু করা যায়নি। বিরোধীরা মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে। তাদের কথায় কান দেবেন না। আবারও বলছি, এতে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না।
অন্য খবর দেখুন