কলকাতা: আর মাত্র কয়েক মাস পরেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই বঙ্গে এসে নির্বাচনী সুর বেঁধে দিয়ে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবাসরীয় দুপুরে নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে সাংগঠনিক সভায় যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শাহের কথায় তাঁর কথায়, বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির (BJP) আর বিশেষ ফারাক নেই। মাত্র কয়েক শতাংশ ফারাক রয়েছে ভোটের। ২৬ এর নির্বাচনে বাংলা থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে তৃণমূল। এদিন শাহ ঘোষণা করলেন ২৬ এ বাংলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিদায় নেহবে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতা দখল করবে, বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেবেন। দিদি, ক্ষমতা থাকলে হিংসা ছাড়া, রিগিং ছাড়া নির্বাচন করিয়ে দেখান। আপনার নিজের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। আপনার পর ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এটা হবে না। ”
এদিন শাহের বক্তব্যে উঠে আসে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, বাংলার নির্বাচন দেশের সুরক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের দেশের সীমান্তকে বাংলাদেশিদের জন্য খুলে দিয়েছেন। তাঁর আশীর্বাদেই অনুপ্রবেশ হচ্ছে। অনুপ্রবেশ দিদি রুখতে পারবেন না। যাতে ওনাদের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চলতে থাকে। কিন্তু এটা বেশিদিন চলবে না।’ তৃণমূল সাংসদ সংসদে প্রশ্ন করছিলেন, বিএসএফ কী করছে? মমতাদিদি আমরা জমি চেয়েছিলাম। পুরো জমি দিয়ে দিন, পাখিও গলতে পারবে না। আপনি চান অনুপ্রবেশ চলুক। আপনার পর ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এটা হবে না। তৃণমূলনেত্রীর উদ্দেশে বললেন, “আপনার সময় শেষ।” ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতা দখল করবে, বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেবেন বলে ঘোষণা করলেন তিনি।
আরও পড়ুন: রিগিং ছাড়া ভোট করলে দিদির জামানত জব্দ হবে, হুঙ্কার শাহের
শাহ বলেন, মা-মাটি-মানুষের স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মহান বঙ্গভূমিকে অনুপ্রবেশ, দুর্নীতি, মহিলাদের উপর অত্যাচার, বোমা এবং হিন্দুদের উপর দুরাচারের কেন্দ্র বানিয়ে দিয়েছেন। দিদি হিম্মত থাকলে ব়্যাগিং ছাড়াই নির্বাচন করে দেখুন। আপনার নিজের জমানতই জব্দ করে দেবে বাংলার জনতা। ভোটব্যাঙ্কের জন্য পতনের সীমা পার করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৬ সালে বিজেপি সরকার গড়বে বাংলায়। শাহ বলেন, ‘২০১৭ সালের নির্বাচনের পর আমরা ১৯-এর লোকসভার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এরপর একুশের বিধানসভায় আমরা ৭৭টি আসনে জয় লাভ করি। এরপর ২৪-এর লোকসভায় ৯৭ বিধানসভা আসনে বিজেপি এগিয়ে ছিল। ১৪৩টি আসনে ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছি আমরা। অর্থাৎ, লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আর কিছুটা এগোলেই ২৬এর নির্বাচনে আমাদের সরকার তৈরি হবে।
অন্য খবর দেখুন